থার্টিফার্স্ট নাইট
আতশবাজি পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৪ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৫
ঢাকা: থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মাদ সাজ্জাত আলী সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনজীবন স্বাভাবিক রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে দেওয়া ক্ষমতায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে অনুমতি ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, নাচ, গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি ও শোভাযাত্রা করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী এলাকায় সব বার বন্ধ থাকবে। হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও যেসব নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আসবেন। রাত ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের আজ রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোয় এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এসব এলাকায় বাসিন্দারা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
একইভাবে প্রতিটি এলাকার জন্য নির্ধারিত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাঁদের এসব এলাকায় না যেতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ছাড়া উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে, এমন কোনো গানবাজনা চালানো যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ট্রাফিক নির্দেশনা
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টা থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকা ব্যবহার করা যাবে না, তবে এসব এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
এ ছাড়া ২১টি পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। সেগুলো হলো- ফিনিক্স মোড়, শুটিং ক্লাব মোড়, শান্তা মোড়, ইউনাইটেড হাসপাতাল গ্যাপ, বটতলা মোড়, বনানী ২৩ নম্বর রোড, জিএমজি ক্রসিং, ঢাকা গেট, পুরাতন আড়ং ক্রসিং, মানারাত ক্রসিং, নিকেতন ক্রসিং, নতুন বাজার ক্রসিং, পুলিশ প্লাজা মোড়, জাতিসংঘ গোল চত্বর, মসজিদ গ্যাপ, গুদারাঘাট গ্যাপ, মায়াগঞ্জ ক্রসিং, বাড্ডা লিংক রোড, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি মোড়, কালাচাঁদপুর গ্যাপ ও বনানী ১১ নম্বর রোড।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল সকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া অন্য যেকোনো ব্যক্তি বা যানবাহন শুধু পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। ওই এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্য সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে।
আজ রাত ৮টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং ও চাঁনখারপুল/শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে নগরবাসী কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য নিতে পারেন।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ