আদাবরে নবদম্পতিকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, আটক ৩
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৩ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩
ঢাকা: রাজধানীর আদাবরে নবদম্পতি স্বামী-স্ত্রীকে আটকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের চাঁদা চেয়ে মারধর করেছেন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। এ সময় কয়েকজন স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করে ভিন্ন রুমে আটকে স্ত্রীকে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দেয় তারা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০ টায় আদাবরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ রাত দেড়টায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
গ্রেফতাররা হলেন- জসীম (৩৩), জিহাদুল ইসলাম শুভ (১৯) ও ফয়সাল (১৮)।
ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন জানান, ‘আমি মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি এলাকার ১০ নম্বর রোডে বাচ্চু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকি। আমার পরিচিত রিপন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার ১৫-২০ জন লোক মিলে গতকাল রাত দশটায় আমার বাসায় সন্ত্রাসী স্টাইলে প্রবেশ করে। তখন তারা আমার খাটের ওপর বসে সিগারেট ধরায়। এ সময় তারা আমার স্ত্রীকে ও আমাকে মারধর শুরু করে বলতে থাকে, তোরা বিয়ে ছাড়া একসাথে থাকস। এখন তোদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিব। এমন কথা বলে আমাদের প্রচন্ড মারধর করতে থাকে আর বলতে থাকে আমাদের বিশ হাজার টাকা দে। তাহলে সব সমস্যার সমাধান করে দিব। তখন আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে আলাদা করে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় তারা।’
ভুক্তভোগীর স্ত্রী পিংকি আক্তার জানান, ‘আমি বাসায় প্রবেশ করে কাপড় পরিবর্তন করছিলাম। এ সময় ৫-৭ জন বাসায় প্রবেশ করে আমার কাপড় ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। পরে আমাকে আমার স্বামী থেকে আলাদা করে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তখন আমাকে বলে, বিশ হাজার টাকা দে। না হয় আমরা তোর ক্ষতি করব। পরে আমাকে একটি ঘরের ভেতর তালা মেরে আটকে দিয়ে কয়েকজন প্রবেশ করে আরও মারধর করতে থাকে। এ ঘটনায় আমরা থানা পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে আমাদের উদ্ধার করে। সকালে আমরা থানায় গিয়ে এ ঘটনায় একটা মামলা দায়ের করি।’
এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া বলেন, ‘একটি নবদম্পতি পরিবারকে গতকাল রাতে জিম্মি করে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে। এ সময় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে আটক করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা আটক তিনজনকে ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/এসডব্লিউ