Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০০ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৮

শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

ঢাকা: ‘দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যগুলোর মধ্যে ফল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহারের হার বেশি। আমাদের কৃষক শ্রেণি কীটনাশক ব্যবহারে সাধারণত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে না। ফলে দেখা যায় খাদ্যপণ্যের মধ্যে শাক-সবজি ও ফলে কীটনাশকের উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে,’  বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন।

সোমবার (৩০) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত কোন খাদ্য কতটুকু নিরাপদ তা জানা যায় না। তবে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে সব ধরনের খাবারই নিরাপদ থাকতে হবে।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন। এছাড়া এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএর সদস্য মাহমুদুল কবির মুরাদ ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।

প্রবন্ধে ড. রুহুল আমিন বলেন, ‘জাতিসংঘের এসডিজি গোল ২ এ খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাবারের ব্যাপারে বলা হয়েছে।’

তিনি দেশের মানুষের খাদ্যে ফল গ্রহণ সম্পর্কে বলেন, ‘গ্রামের মানুষ ২৩.৮ শতাংশ ও শহরে ৩৮ শতাংশ ফল খেয়ে থাকে। এটি বিভাগীয়ভাবে গ্রহণের ক্ষেত্রে বরিশালে ৪০.২, চট্টগ্রামে ১৭.৩, ঢাকায় ২৬.৫, খুলনায় ২৬.২, ময়মনসিংহে ৩৫.৮, ৪৮.৯, রংপুরে ৬০.১ ও সিলেটে ৪৫.৭ শতাংশ।’

এদিকে, গরুর মাংস ও পোলট্রি মাংস গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ ১৫.৭, শহুরে ৩৩.১ শতাংশ, ডিম গ্রহণে গ্রামের মানুষ ১০.১, শহুরে ১৮.৯ শতাংশ, গ্রহণের গ্রামের মানুষ ১৫.৭, শহুরে ৩৩.১ শতাংশ। তাছাড়া দেশে ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। সেখানে ধনীদের এটি গ্রহণের হার ৭ শতাংশ ও গরিব মানুষের খাদ্য গ্রহণের হার মাত্র ২ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে বলেন, ‘বিদেশে রপ্তানি করতে হলে নিরাপদ খাদ্য রপ্তানি করতে হবে। তা না হলে বিদেশীরা আমাদের পণ্য কিনবে না।’

তিনি বলেন, ‘তিন ভাগে খাদ্য নিরাপদতা নির্ভর করে। তার মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফুড সেফটিং, থার্ড পার্টি ও ন্যাশনাল পর্যায়ে।’

দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের হার কতটুকু এক প্রশ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোন খাদ্য কতটুকু নিরাপদ তা জানা যায় না। তবে ফল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি।’

কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জাকারিয়া বলেন, ‘সবজিতে কীটনাশক সরাতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে কিছুটা কমে। বেশি অনিরাপদ বা ক্ষতিকারক খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন কলিজা জাতীয় খাবার। এ খাবার পরিমাণে কত খেতে হবে।’

নিজেদের লোকবল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ২৪৮ জনবল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া খাদ্যের নিরাপদতা পরীক্ষায় বৈদেশিক অনুদানের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আরও ৩টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাতে ৩১৮ টি পদে লোকবল নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খাদ্য নমুনা পরীক্ষা করা নিয়মিত কাজ। প্রতিটি জেলা অফিসকে মাসে কমপক্ষে ২টি নমুনা পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। নিরাপদ শাক-সবজি আসলেও বাজারের পরিবেশের কারণে তা দূষণের কবলে পড়ে।’

এক্ষেত্রে বাজারগুলোর পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি স্থানীয় সরকার ও পৌরসভার দায়িত্ব। সেখানে আমাদের কাজ করার সুযোগ কম।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ

কীটনাশক খাদ্য নিরাপত্তা ফল শাকসবজি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর