দ.কোরিয়ায় বিধ্বস্ত বিমান: কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩৫ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:০৪
দক্ষিণ কোরিয়ার বেসরকারি বিমান সংস্থা জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে অন্তত ১৭৯ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির প্রশাসন ও বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বিমানটির বিধ্বস্তের পেছনে পাখির আঘাতকে কারণ হিসাবে জানালেও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না। এবার মার্কিন তদন্তকারীদের একটি দল দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণগুলো দেখতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগ দেবেন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের লাইভ ফিডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, দেশটির ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৭৩ জন নিহতের মধ্যে ১৪১ জনকে ডিএনএ বিশ্লেষণ বা আঙুলের ছাপ সংগ্রহের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দ.কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: ১৮১ আরোহীর মধ্যে বাঁচল কেবল ২
ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। সোমবার পতাকা অর্ধনমিত করা হয়েছে এবং দেশব্যাপী স্মারক স্থাপন করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জানেন এমন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন যে পাখির আঘাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাখির আঘাতের কারণে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়ের কালো অংশের (টারম্যাক) বাইরে চলে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা খেয়েছে। তাই রানওয়ে ছোট হওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমন এক প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভবত এটা দুর্ঘটনার কোনো কারণ নয়।
এর আগে, রোববার থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্দেশে ১৮১ যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬। জেজু এয়ারের এই বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। দু’জনকে জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচআই