তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট: অনুসন্ধানে দুদক
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১২
ঢাকা : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে এ প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক একেএম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে কিনে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া এবং সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক একেএম মাকসুদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ একটি জাতীয় দৈনিকে এসেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আরও জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক একেএম মাকসুদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ সুনির্দিষ্ট ও তথ্যভিত্তিক হওয়ায় অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
জানা গেছে, বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থানীয়ভাবে কিনে বিদেশ থেকে আনার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্য, দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামের উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম সংযোজন, সিলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস