এ বছর পাকিস্তানে ৯২৫ সন্ত্রাসী নিহত, ৫ বছরে সর্বোচ্চ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩২ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৬
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, ‘২০২৪ সালে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বাধিক সফলতা অর্জন করেছে। এটি ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সর্বোচ্চ সংখ্যক সন্ত্রাসী নিধনের বছর।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সফলতা
জেনারেল চৌধুরী জানান, এ বছর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ৫৯,৭৭৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৯২৫ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা এবং আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ২৭ জন আফগান সন্ত্রাসীও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিহতদের মধ্যে মালাকান্দ বিভাগের ফিতনা আল খাওয়ারিজ নেতা মিয়ান সাইদ ওরফ কুরেশি, মোহসিন কাদির, এবং ঝোব বিভাগের ফদাউর রহমান ওরফ লালসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছেন।
বেলুচিস্তানে সন্ত্রাস দমন
বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সানা ওরফ বারো, বশির ওরফ পীর জানসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।’ এছাড়া, আফগানিস্তান থেকে আসা দুই আত্মঘাতী বোমারুর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি আত্মঘাতী বোমা জ্যাকেট এবং ২৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ
জেনারেল চৌধুরী জানান, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ৩৮৩ জন সাহসী অফিসার এবং সৈনিক শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর উদ্যোগে ১৪ জন সন্ত্রাসী তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে জাতীয় মূলধারায় যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ফিতনা আল খাওয়ারিজের নেতা নাহিদসহ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীও রয়েছেন।
সন্ত্রাস দমনে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ
জেনারেল চৌধুরী ডিজিটাল সন্ত্রাস প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান। এছাড়া, ২০২৩ সালের ৯ মে দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় অভিযুক্ত ৮৫ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের বিষয়েও তিনি আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শেষ সন্ত্রাসী ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাব।’
সারাবাংলা/এনজে