Sunday 29 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আন্দোলনে গুলি চালানো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২২

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন গ্রেফতর

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানোর ঘটনায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপরে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী সদরের সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি দল।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করা এ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম মিঠুন চক্রবর্তী (৩৫)। তিনি চকবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ধার করা বিদেশি পিস্তল দিয়ে তিনি ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপ কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই আমাদের এখানে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল, তখন মিঠুন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হামলা চালায়। এ ধরণের একটি ভিডিও আমরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। ভিডিও দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে সে আত্মগোপনে ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানার একটি মামলায় মিঠুন এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার সম্পৃক্ততা আমরা পেয়েছি। সে চকবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল সে। তার সহযোগিতায় মিঠুন এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্‍্যক্রম পরিচালনা করতো বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তাকে আজ (সোমবার) আমরা আদালতে সোপর্দ্দ করে রিমান্ডের আবেদন করব।’

বিজ্ঞাপন

ডিসি রইছ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন আমাদের কাছে স্বীকার করেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমানোর জন্য সে অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে। আন্দোলনে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। অতি শীঘ্রই অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’

যে অস্ত্রটি আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হয়েছিল সেটা কী ধরণের অস্ত্র- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা একটি বিদেশি পিস্তল ছিল। পিস্তলটি তার নিজের নয় দাবি করে সে বলেছে, অন্য আরেকজনের কাছ থেকে এটি নিয়েছিল। পরে আবার ফেরত দিয়েছে। সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

মিঠুন ভারতে পালানোর কোনো চেষ্টা করেছিলেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অস্ত্রহাতে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতার এড়ানোর জন্য সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করছিল। আমাদের পাঁচলাইশ থানার একটি আভিযানিক দল দীর্ঘদিন তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে আসছিল। সর্বশেষ ফেনীর সুলতানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

মিঠুনের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা আমরা পেয়েছি। যেহেতু সে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল সুতরাং এখানে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা হয়েছে সেসব ঘটনায় যদি তার সম্পৃক্ততা থাকে, সেখানেও তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে। তার পেছনে কেউ ইন্ধনদাতা থাকলে তাকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আমরা আনব।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/আরএস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর