৩৩ ঘণ্টাতেও উদ্ধার হয়নি ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৭ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:৫১
গাজীপুর: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ৩৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ থেকে তুরাগ নদে পড়ে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার হয়নি। দুর্ঘটনাস্থলে ট্রাক উদ্ধারের তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে টঙ্গী বাজার এলাকায় তুরাগ নদের ওপর অস্থায়ী বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এ সময় পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নিচে পড়ে যায়। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনকে কামারপাড়া দিয়ে যাওয়া বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে টঙ্গী ব্রিজ ভেঙে পড়লে যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে আরও একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ভেঙে পড়া বেইলি ব্রিজটি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটে চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হতো।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিআইডব্লিউটির একজন কর্মকর্তা ছাড়া তেমন কাউকেই দেখা যায়নি ভেঙে পড়া ব্রিজের আশপাশে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধারের কিছু সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। সেই সরঞ্জাম পৌঁছে গেলে দুপুর ২টার দিকে পড়ে যাওয়া ট্রাক উদ্ধারে কাজ শুরু হতে পারে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, শনিবার সকালে বেইলি ব্রিজ ভেঙে তুরাগ নদীতে ট্রাক পড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সড়ক ও জনপথকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহমুখী লেনে চলাচলকারীদের বিকল্প পথে চলার অনুরোধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ট্রাফিক আপডেট জানিয়েছিল গাজীপুর মহানগর পুলিশ। এতে এ পথে চলাচলকারী সব যাত্রী ও যানবাহনকে টঙ্গী ব্রিজ এড়িয়ে কামারপাড়া মুন্নুগেট বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘আমরা ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড দিয়েছিলাম। কিন্তু চালকরা নির্দেশনা না মেনে চলাচল করছে। এ দায় আমাদের নয়। এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক। সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা এসেছি উদ্ধার কাজে সহোযোগিতা করতে। উদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব নয়। যেহেতু নদীতে পড়েছে তাই আমরা এসেছি সড়ক ও জনপথকে উদ্ধার কাজে সহোযোগিতা করার জন্য।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ