Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মূল্যস্ফীতি আগে আটকে রাখা হতো, এখন কারচুপি না থাকায় বেশি দেখাচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১৫ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৯

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: মূল্যস্ফীতি আগে আট বা নয়-এ আটকে রাখা হলেও এখন কোনো ‘কারচুপি নাই’ বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র ৬ষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব বলেন। ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’-এর বোর্ড অব এডিটরসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার।

বিজ্ঞাপন

বক্তব্য দেন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছুর মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য-বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে। আবার নীতি নির্ধারাকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি, আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’

বিজ্ঞাপন

অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরই মধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।’

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ আছে জাতির সামনে। একটি হচ্ছে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য তৈরি করা। তথ্যের সত্যতা, পেশাদারিত্ব- এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে অগ্রগতি হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা খাত, সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থা থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড় করানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতির চাকা ঘুরতে হবে, অর্থনীতির প্রক্রিয়াগুলো বেগবান করতে হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ব্যক্তিখাত থেকে শুরু করে সবার সম্পৃক্ততা আছে। মূল্যস্ফীতি আরেকটা বিষয় এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হলে আমাদের অলিগার্কিক মার্কেট পাওয়ার গত ১৫ বছরের শাসনকালে অন্য স্তরে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম দুইটায় সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। তথ্য ও পেশাদারত্ব আগের থেকে উন্নত হচ্ছে, সামনে আরও এগোবে। অন্য বিষয়গুলো আছে তারমধ্যে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর যে বিষয়টা, সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের একক বিষয় না। সার্বিক দায়িত্ব।’

হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘আমরা জানি বিনিয়োগ থমকে আছে। সেটা শুধু অর্থনীতি পরিচালনার বিষয় নয়, সামগ্রিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা একটু কঠিন অবস্থার মধ্যে আছে। চেষ্টা কিন্তু চলছে, তবে সফলতা ধীরে আসছে। আরেকটা হচ্ছে অলিগার্কিক মার্কেট পাওয়ার বাস্তবতা হিসেবে বিরাজ করছে। এটাকে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ সামনে রয়ে গেছে। ২০২৫ সালে এখানেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

অর্থ উপদেষ্টা টপ নিউজ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মূল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর