অবৈধ দোকান সরাতে কঠোর হবে রাবি প্রশাসন
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৪৪ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০২
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অভ্যন্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ভ্রাম্যমাণ ও অবৈধ দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে একই নির্দেশনা দিয়েও কেউ-ই দোকান সরায়নি। তবে এবার কঠোরহস্তে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করবে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মাইকিং করে এ নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দফতর।
এস্টেট দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরের সকল ভ্রাম্যমান ও অবৈধ দোকানদারদের আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা হতে সকল ভ্রাম্যমান ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১০ নভেম্বর বিকাল ৪টার মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার একই নির্দেশনা দিয়ে ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হয়। তবে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কেউ-ই দোকান সরায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার (অফিস প্রধান) মো. রজব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অনেক দোকানপাট গড়ে ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, মমতাজ উদ্দিন ও শহীদুল্লাহ কলা ভবন, পরিবহণ মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য অবৈধ দোকান গড়ে ওঠেছে। এসব অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো উৎখাত করে ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তো আর বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে একটি বিনোদনের জায়গা, একটি উৎসবের জায়গা এবং একটি ব্যবসায়িক এলাকা। এখানে আর শিক্ষার পরিবেশ বজায় নেই। ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অনেক অবৈধ ও ভ্রাম্যমাণ দোকান গড়ে উঠেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। মূলত এই উদ্বেগের জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর আগে একবার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেউ-ই দোকানগুলো সরায়নি। বরং আরও নতুন নতুন দোকান বেড়েছে। তবে এবার আমরা কঠোরহস্তে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করব।’
সারাবাংলা/এইচআই