Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পিলখানা হত্যা
হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৯ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০১

পিলখানা গণহত্যায় নিহত সেনা পরিবারের সদস্য। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকী, জেনারেল মইন ইউ আহমেদসহ মোট ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা।

বিজ্ঞাপন

এরপর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনদের মধ্যে কয়েকজন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

পিলখানায় নিহত কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, ‘পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলবেন না। বিদ্রোহ এ রকম হয় না। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’

এ সময় শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, ‘ওই দিন প্ল্যান করে মারার পর লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাচ্চাদের বুট দিয়ে লাথি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সেদিন কী করা হয়েছে, তা আপনারা জানেন না।’

তিনি বলেন, ‘এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলবেন। তদন্ত করলেই সত্যতা বের হয়ে আসবে এবং এটি জনসম্মুখে করতে হবে। আমরা আজও জানি না কিংবা আমাদের সন্তানরাও জানে না কী কারণে উনাদের হত্যা করা হয়েছে। তাদেরকে হত্যা করার জন্য কোনো একটি কারণ তো থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় অনেক সাংবাদিক শহীদদের দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছেন। যা আমাদের জন্য লজ্জার। অথচ তারা সৎ কর্মকর্তা ছিলেন। যদি দুর্নীতি করে থাকেন তাহলে সেগুলোর নথিপত্র তো থাকবে। এখন আপনারা এগুলো বের করেন।’

বিজ্ঞাপন

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার একটি পরিকল্পনা ছিল। আমাদের দেশের তুখোড় কিছু অফিসারদের মেরে তারা শান্ত হয়নি বরং পরিবারের সদস্য ও আশপাশের অনেক সাহসীদেরও হত্যা করেছে।’

এ সময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমপি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পিলখানা ট্রাজেডি পিলখানা হত্যাকাণ্ড

বিজ্ঞাপন

ফিরে দেখা ২০২৪ / ছবিতে বছর ভ্রমণ
১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর