আস্থা ভোটে হেরে গেলেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৬ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন, যা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচনের পথ নিশ্চিত করেছে।
সোমবারের (১৬ ডিসেম্বর) এই আস্থা ভোটের আহ্বান শলৎস নিজেই দিয়েছিলেন এবং পরাজয়ের জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এসপিডি) রাজনৈতিক অবস্থান পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হবে।
দুই মাস আগে তার তিনদলীয় জোট সরকার ভেঙে পড়ার পর শলৎস সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করছিলেন। ভোটের আগে শলৎস বলেন, ‘এখন জনগণই আমাদের দেশের রাজনৈতিক দিক নির্ধারণ করবে।’ এই আস্থা ভোটে পরাজয় তার পরিকল্পিত পদক্ষেপেরই অংশ ছিল।
এই পরাজয়ের ফলে নির্বাচনের তারিখ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে এগিয়ে আনা সম্ভব হলো। ভোটে ২০৭ জন এমপি শলৎসকে সমর্থন দিলেও, ৩৯৪ জন তার বিপক্ষে ভোট দেন এবং ১১৬ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
নভেম্বরে জোট ভেঙে পড়ার পর থেকে শলৎসকে আইন পাস করতে বিরোধী কনজারভেটিভ ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) ওপর নির্ভর করতে হচ্ছিল। ফলে তার প্রশাসন কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে।
জার্মানির স্থবির অর্থনীতি এবং পশ্চিমা বিশ্বের চলমান সংকটের মধ্যে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভোটারদের কাছে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
বর্তমানে শলৎসের এসপিডি জনমত জরিপে পিছিয়ে আছে, যেখানে সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভরা সরকার গঠনের পথে রয়েছে।
সোমবারের (১৬ ডিসেম্বর) বিতর্কে শলৎস দেশকে নতুন পথে পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগের কথা বলেন। অন্যদিকে, মের্জ তরুণ প্রজন্মের ওপর ঋণের বোঝা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর কমানোর প্রস্তাব দেন।
শলৎসের এই পরিকল্পিত পরাজয়কে জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড ‘কামিকাজে’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এটি জার্মান সংবিধানের একটি প্রচলিত পদ্ধতি, যা আগাম নির্বাচন ডাকার জন্য সরকারের ভেঙে দেওয়া নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির প্রতিষ্ঠাতারা এই পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন, যাতে ওয়েইমার প্রজাতন্ত্রের সময়কার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়ানো যায়।
আস্থা ভোট একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। আধুনিক জার্মানিতে পাঁচবার এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাবেক চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রেডার দুবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন, যার ফলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে।
সোমবারের (১৬ ডিসেম্বর) এই আস্থা ভোটের আহ্বান শলৎস নিজেই দিয়েছিলেন এবং পরাজয়ের জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এসপিডি) রাজনৈতিক অবস্থান পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হবে।
দুই মাস আগে তার তিনদলীয় জোট সরকার ভেঙে পড়ার পর শলৎস সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করছিলেন। ভোটের আগে শলৎস বলেন, ‘এখন জনগণই আমাদের দেশের রাজনৈতিক দিক নির্ধারণ করবে।’ এই আস্থা ভোটে পরাজয় তার পরিকল্পিত পদক্ষেপেরই অংশ ছিল।
এই পরাজয়ের ফলে নির্বাচনের তারিখ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে এগিয়ে আনা সম্ভব হলো। ভোটে ২০৭ জন এমপি শলৎসকে সমর্থন দিলেও, ৩৯৪ জন তার বিপক্ষে ভোট দেন এবং ১১৬ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
নভেম্বরে জোট ভেঙে পড়ার পর থেকে শলৎসকে আইন পাস করতে বিরোধী কনজারভেটিভ ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) ওপর নির্ভর করতে হচ্ছিল। ফলে তার প্রশাসন কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে।
জার্মানির স্থবির অর্থনীতি এবং পশ্চিমা বিশ্বের চলমান সংকটের মধ্যে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভোটারদের কাছে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
বর্তমানে শলৎসের এসপিডি জনমত জরিপে পিছিয়ে আছে, যেখানে সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভরা সরকার গঠনের পথে রয়েছে।
সোমবারের (১৬ ডিসেম্বর) বিতর্কে শলৎস দেশকে নতুন পথে পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগের কথা বলেন। অন্যদিকে, মের্জ তরুণ প্রজন্মের ওপর ঋণের বোঝা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর কমানোর প্রস্তাব দেন।
শলৎসের এই পরিকল্পিত পরাজয়কে জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড ‘কামিকাজে’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এটি জার্মান সংবিধানের একটি প্রচলিত পদ্ধতি, যা আগাম নির্বাচন ডাকার জন্য সরকারের ভেঙে দেওয়া নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির প্রতিষ্ঠাতারা এই পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন, যাতে ওয়েইমার প্রজাতন্ত্রের সময়কার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়ানো যায়।
আস্থা ভোট একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। আধুনিক জার্মানিতে পাঁচবার এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাবেক চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রেডার দুবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেন।
সারাবাংলা/এনজে