চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে মেয়রের শ্রদ্ধা
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৩ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজয় দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর উত্তর কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিজয়ের ৫৩ বছরেও মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত হয়নি মন্তব্য করে সাংবাদিকদের মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘বিজয়ের ৫৩ বছরেও বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত হয়নি। ৫৩টি বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা এখনও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। এখনও মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত হলে, আমরা আমাদের বিজয়ের প্রকৃত সুফল অর্জন করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের যে নিশ্চয়তা নেই এবং গণতন্ত্রের পথে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা আমরা অতিক্রম করার চেষ্টা করছি। মানুষের মৌলিক অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা যদি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারি, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়—তাহলে আমরা একটি গণতান্ত্রিক, সুন্দর, দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
‘এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য, সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারবে এবং একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে পারবে।’
মেয়র বলেন, ‘আজ এই বিজয় দিবসটি আমাদের জন্য আরেকটি বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেটা হলো ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আগস্টের বিজয়। এ বিজয় এবং বিজয় দিবসের মূল শিক্ষা হলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তা। আজ আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, তাহলে মানুষের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারব। মানুষের মৌলিক অধিকার, যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য—এসব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজের নষ্ট হওয়া অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আবারও দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, এবং গণতান্ত্রিক একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। এ বাংলাদেশ হবে জনগণের মৌলিক অধিকারসমৃদ্ধ, যেখানে মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে, কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সারাবাংলা/আইসি/ইআ