শ্রমিক-মালিক উভয়ের সুবিধা মাথায় রেখেই শ্রম সংস্কারের প্রস্তাব
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৫ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৪৪
ঢাকা: শ্রমিক ও মালিকসহ সব পক্ষের কথা মাথায় রেখেই শ্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দেবে শ্রম সংস্কার কমিশন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশনের তৃতীয় সভা এবং জেলা ও দায়রা জজের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সদস্য ড. মাহফুজুল হক, কামরান টি রহমান, জাকির হোসাইন, শাকিল আখতার চৌধুরী, তাসলিমা আখতার, অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম ও চৌধুরী আশিকুল আলম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ফজলে শামীম এহসান, এ এন এম সাইফুদ্দিন, ফারুক আহাম্মাদ, অর্থনীতিবিদ অনন্য রায়হান, গণমাধ্যমকর্মী আরিফুল ইসলাম ও ছাত্র প্রতিনিধি মোস্তফা আল হোসাইন আকিল।
সভায় কমিশন সদস্যরা কমিশনের অগ্রগতি ও খসড়া কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সবাই যে যার জায়গা থেকে কমিশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
ছাত্র প্রতিনিধি মোস্তফা আল হোসাইন আকিল বলেন, শ্রমিকরা তাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণে তারা শিকার হচ্ছে শোষণের। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন এই বিষয়টিও মাথায় রাখি।
কমিশনপ্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহম্মদ বলেন, আমরা এখানে যারা বসে আছি, আমাদের কাছে কিছুই অসম্ভব না। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সব অংশীজন সুবিধা পাবে— এমন একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেওয়ার সক্ষমতা রাখি।
একই দিন শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয় শ্রম ভবনে। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্যসহ শ্রম আদালতের পাঁচ চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) মাকসুদা খানম, রোকেয়া রহমান, আব্দুল হামিদ, গোলাম আজম ও জাস্টিস সৈয়দ দস্তগীর হোসেন।
মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যানরা কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, আদালতের তুলনায় মামলার সংখ্যা বেশি, জনবল কম ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে তাদের বিচারকাজ শেষ করতে জটিলতা দেখা দেয়।
কমিশন প্রধান বলেন, শুধু আইনের জটিলতাই নয়, বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে সামগ্রিকভাবে তাদের দৃষ্টিপাত জানার জন্যই এ সভা। কমিশন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন করতে সবার সাহায্য ও সহযোগিতা কমনা করছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর