Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ৩ বছরে ৩৬২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৪

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৫ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে তিন বছরে ৩৬২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এতে ৫৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাণ হারানো অধিকাংশই ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ‘কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী’ ও নগরীর তিনটি থানা এলাকায় দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অফ রিমেমবারস ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’ দিবস উপলক্ষে নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটির (বিআইজিআরএস) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিস যৌথভাবে এ সমীক্ষা করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। তিনি জানিয়েছেন, নগরীর ১৬টি থানা থেকে সড়ক দুর্ঘটনার মামলার এজাহার থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য তুলে ধরে কাজী সাইফুন নেওয়াজ জানান, এসময় মোট ৬৮৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫২৫টি ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে, যার হার ৮০ শতাংশ। এসময়ের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির হার ৩৩ শতাংশ।

নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি, বাকলিয়া ও চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার হার বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় যাদের প্রাণহানি হয়েছে তাদের মধ্যে পথচারীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ। মোটর সাইকেল আরোহী ৫৮ শতাংশ। প্রাণহানির শিকার সবচেয়ে বেশি ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ, যারা দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।

বিজ্ঞাপন

যানবাহনের অতিরিক্ত গতির কারণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে সব প্রতিষ্ঠানের কাজ করা জরুরি। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পুলিশ, বিআরটিএ, সিডিএ সবাই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে সহজেই সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাবে।’

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসচা) সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হলে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং ও আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে।’

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আসফিকুজ্জামান আক্তার, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, বিআরটিএ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি

কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম সড়ক দুর্ঘটনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর