প্রেসিডেন্টের অভিশংসন ঘিরে দ.কোরিয়ায় বিক্ষোভ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫০
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসনের দাবিতে সিউলের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে। অপরদিকে, প্রেসিডেন্টের সমর্থনে পাল্টা মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউনের ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়াস এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় জাতীয় পরিষদে ভোট প্রদানের জন্য তোলা হবে।
জাতীয় পরিষদের সামনে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও কারাদণ্ডের দাবিতে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে কয়েক লাখ মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেছে। সিউল পুলিশ জানিয়েছে, অভিশংসনের সমর্থনে সমাবেশে অন্তত ২ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, সিউলের গাংহামুন স্কয়ারের কাছে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে এবং দেশপ্রেমমূলক গান বাজিয়েছে।
অভিশংসন প্রস্তাব পাশ করতে ২০০টি ভোট প্রয়োজন। বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে প্রেসিডেন্টের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত ৮ জন সংসদ সদস্যকে তাদের পক্ষে আনতে হবে। ইতোমধ্যে ৭ জন সংসদ সদস্য অভিশংসন প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
অভিশংসন পাস হলে প্রেসিডেন্ট ইউন সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। পরে সংবিধান আদালত ১৮০ দিনের মধ্যে ইউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হতে পারেন। এর আগে ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউনকে অভিশংসন করা হলেও আদালত তাকে পুনর্বহাল করেছিলেন।
গ্যালাপ কোরিয়ার এক জরিপ অনুযায়ী, ইউনের জনপ্রিয়তা ১১ শতাংশে নেমে এসেছে এবং ৭৫ শতাংশ মানুষ তার অভিশংসনের পক্ষে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এক বিক্ষোভকারী কিম সাং-তায়ে বলেন, ‘অভিশংসন প্রয়োজন এবং আমরা নিরলসভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।’
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ইউন নিজের অবস্থানে অটল থেকে বিরোধীদের কমিউনিস্ট শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযুক্ত করেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিউল আদালত সামরিক বাহিনী ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার পর সেনাবাহিনী ও হেলিকপ্টার পার্লামেন্ট ঘিরে ফেলেছিল। তবে আইনপ্রণেতারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামরিক কর্ডন ভেঙে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন এবং সামরিক আইন বাতিল করেন।
সারাবাংলা/এনজে