২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ
সৌদিতে বিশ্বকাপ আয়োজনে বিতর্কের শেষ কোথায়?
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩৮
২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চেয়ে যখন তারা নাম জমা দিলেন, সেদিন থেকেই এ নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সূত্রপাত। অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে সৌদি আরবের। তবে আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণার পরেও যেন থামছে না বিতর্ক। এসবের মাঝে বিশ্ব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডেবি হেউইট বলছেন, সৌদিকে আয়োজক দেশ ঘোষণায় ফিফার সিদ্ধান্তের পক্ষেই আছেন তারা।
এই বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে সৌদির সাথে নাম জমা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বেশ কয়েক বছর ধরেই দুই পক্ষের মাঝে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ফুটবলকে জনপ্রিয় করার জন্য রোনালদো-নেইমার-বেনজেমার মতো তারকার ফুটবলারদের সৌদি প্রো লিগে এনেছে কর্তৃপক্ষ। মাঠ ও মাঠের বাইরে সৌদির প্রচারণাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
শেষ পর্যন্ত সৌদির কাছে হার মেনে গত অক্টোবরে নাম প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে একেক প্রার্থী হিসেবে সৌদির জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে দুদিন আগে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো ঘোষণা করেন সৌদির নাম।
আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা পোষণের পর থেকেই সৌদিতে বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। বিশেষ করে নানা সংস্থা দাবি তুলেছিল, নারী স্বাধীনতা হরণ, সমকামিদের অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট সেখানে আয়োজন করতে দেওয়া উচিত না। শেষ পর্যন্ত তাদের এসব দাবি টেকেনি।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হেউইট বলছেন, সৌদিকে আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচন করার পক্ষেই আছেন তারা, ‘সৌদিকে নির্বাচন করা কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। আমরা সৌদিতে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। তারা কীভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সেটা বুঝার চেষ্টা করেছি। এখনো বিশ্বকাপের ১০ বছর বাকি আছে। তারা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’
সব মতবাদের দর্শক সৌদিতে আয়োজিত বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারবেন, এমনটাই আশা হেউইটের, ‘আমাদের এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবাই মাঠে এসে খেলা উপভোগ করতে পারবে। সবাই চায় ভালো একটা টুর্নামেন্ট হোক।’
সারাবাংলা/এফএম