Saturday 28 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হেলাল হাফিজের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি: প্রধান উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২৫ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:২১

ঢাকা: প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শাহবাগের সুপার হোস্টেলে নিথর অবস্থায় কবি হেলাল হাফিজকে পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

প্রধান উপদেষ্টা কবির পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আরও পড়ুন- ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। কবির শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য কেটেছে ওই শহরেই। নেত্রকোনা কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। কবিতা লেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেছেন দীর্ঘ দিন।

১৯৮৬ সালে হেলাল হাফিজের কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয়। ওই এক কবিতার বইয়েই হেলাল হাফিজ আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রায় তিন দশকে কবির নতুন কোনো কবিতার বই বের না হলেও ওই বইয়ের কবিতাগুলোই কবিকে সাহিত্য অনুরাগীদের কাছে প্রাসঙ্গিক করে রেখেছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রেম, বিরহ আর দ্রোহের অকৃত্রিম উচ্চারণ ছিল হেলাল হাফিজের কবিতার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তার ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার প্রথম দুটি লাইন— ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ কিংবা ‘প্রতিমা’ কবিতার শুরুর পঙ্ক্তি ‘প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।’ মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা যে জলে আগুন জ্বলে শোক হেলাল হাফিজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর