Friday 27 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মৃত্যুভয় দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়ান’ ডা. মাহবুবুর, চালান রিং বাণিজ্য (অডিও ফাঁস)

রাব্বী হাসান সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৬ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৭

রংপুর: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় দুই রোগী মারা যাওয়াসহ গা শিউরে ওঠার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক হয়ে হার্টের রিং (স্টেন্ট) বিক্রি, হার্টের রক্তনালীতে একটি রিং পরিয়ে তিনটির টাকা নেওয়া, রক্তনালীতে ব্লক না থাকলেও ব্লক আছে বলে আতঙ্কিত করে তোলার পর রিং পরানোসহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ। আর এসব বিষয়ে একাধিক তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সম্প্রতি ডা. মাহবুবুর তার এক সহকর্মীর আত্মীয়কে রিং পরাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যু ও হার্টের রিং বাণিজ্যসংক্রান্ত একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর আলোচনায় আসে বিষয়গুলো। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ঢাকা, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এবং রংপুর সিভিল সার্জন অফিসে ডাকযোগে এবং সরাসরি পাঠিয়ে ডা. মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার সূত্রপাত

২০২৩ সালের নভেম্বরে রংপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন শাহ কার্ডিওলজি বিভাগের সহকর্মী ডা. মাহাবুবুর রহমানের অধীনে ভর্তি করেন তার আপন খালু রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আফজাল হোসেনকে (৬৫)। এর পর ওই বছরের ৭ নভেম্বর স্বাভাবিক অবস্থায় আফজাল হোসেনকে রিং পরাতে গিয়ে তার রক্তনালী ছিদ্র করে ফেলেন। এর পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কয়েক ঘণ্টা পর মারা যান আফজাল হোসেন।— এমন ‘ভয়ংকর মৃত্যুর’ বর্ণনা উঠে এসেছে একজন চিকিৎসক এবং ক্যাথল্যাবে (যেখানে রিং পরানো হয়) কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্সের মধ্যে কথোপকথনে। ডা. মাহাবুবের রিং পরানো সম্পর্কিত সেই অডিও ক্লিপ সারাবাংলার হাতে এসেছে।

চিকিৎসক হয়ে হার্টের রিং (স্টেন্ট) বিক্রি করেন, হার্টের রক্তনালীতে একটি রিং পরিয়ে তিনটির টাকা নেন, রক্তনালীতে ব্লক না থাকলেও ব্লক আছে বলে ‘মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আতঙ্কিত’ করে তোলেন— এমন সব অভিযোগের সঙ্গে আফজাল হোসেনসহ আরেকজন রোগীর মৃত্যুর লিখিত অভিযোগের মুখোমুখি এখন ডা. মাহাবুবুর রহমান।

সারাবাংলার হাতে আসা ওই অডিও ক্লিপে একজন সিনিয়র চিকিৎসক ওই স্টাফ নার্সের কাছে জানতে চান কীভাবে ডা. মাহাবুবুর রহমান অধীনে চিকিৎসারত অবস্থায় আফজাল হোসেন মারা যান। উত্তরে ওই নার্স বলেন যে, “ওইদিন ডা. মাহবুব পাঁচটি এনজিওগ্রাম করার পর দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রস্তুতি ছাড়াই আফজাল হোসেনকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে এসে এনজিওগ্রাম করেন। এনজিওগ্রামে হার্টের একটি রক্তনালী সম্পূর্ণভাবে ব্লক ছিল এবং ডা. মাহবুব সেটাতে রিং পরানোর জন্য ওইদিন দুপুর দেড়টায় ক্যাথল্যাবে কর্মরত নার্স ও টেকনিশিয়ান খোরশেদকে তাগাদা দেন। ডা. মাহাবুবকে সম্পূর্ণভাবে ব্লকড রক্তনালীতে রিং লাগাতে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করলে ডা. মাহবুব ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নার্সকে ‘বকাঝকা’ করেন। ওই বন্ধ রক্তনালীতে একটার পর একটা রিং লাগানো ওয়্যার ও বেলুন ঢুকিয়ে সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রক্তনালী খুলতে চেষ্টা করেন। ফলে রক্তনালী ফেটে যায়।”

নাম প্রকাশ না শর্তে একজন কার্ডিওলজিস্ট বলেন, “রক্তনালী সম্পূর্ণরুপে ব্লক থাকলে অত্যাধুনিক উন্নত যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, যেটা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেই। অথচ ডা. মাহাবুব জোর করে রিং ওয়্যার ও বেলুন ঢোকানোর কারণে রক্তনালী ফেটে যায়। এর পর মাহাবুব ক্যাথল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ করে রেজিস্ট্রার খাতায় ‘Cancelled’ লিখে আফজালের মৃত্যুর দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন।’’

রেজিস্টার খাতার এই দু’টি কপিও এখন সাংবাদিকদের হাতে। ওই নার্স বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে ওই রোগীকে সিসিইউতে নিয়ে কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়াই রোগীর হার্টের ভেতর থেকে রক্ত বের করে ওই রোগীর হাতে লাগানো ক্যানোলা দিয়ে সেই রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করাতে থাকেন ডা. মাহাবুব। ফলে একপর্যায়ে তিনি মারা যান।’

ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে নার্স বলেন, ‘ডা. মাহবুব প্রতিটি এনজিওগ্রামে ব্যবহৃত নিডিল, ক্যাথেটার, এক্সটেনশন টিউব তার নিকট থেকে কিনতে বাধ্য করেন এবং পাঁচ-ছয়শত টাকার জিনিস আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন। প্রতিটি এনজিওগ্রাম থেকে তিনি তিন থেকে চার হাজার টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। ওইদিন পাঁচটি এনজিগ্রাম করে বিশ হাজার টাকা অবৈধ আয় করেন।’ নার্সিং কর্মকর্তা এক পর্যায়ে ডা. মাহাবুবকে ‘কসাই’ বলেও অ্যাখ্যায়িত করেন।

ওই নার্স আরও বলেন, ‘প্রতিটি এনজিওগ্রাম করে রোগীকে এনজিওগ্রামের টেবিলে রেখে ডা. মাহবুবের ক্যাথল্যাবের ভেতরের নিজের রুমে রোগীর লোককে ডেকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে রিং লাগানোর জন্য ‘আতঙ্কিত’ করেন। তিনি নিজেই অবৈধভাবে রিং বিক্রি করেন। কিন্তু টাকা গ্রহণের রিসিট সরবরাহ করেন না।’

ডা. মাহবুবুরের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ

৭ ডিসেম্বর হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন একই হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহিন শাহ; যার অভিযোগের কপিও সারাবাংলার হাতে সংরক্ষিত। ডা. শাহিন শাহ’র খালু আফজাল হোসেন (৬৫) ডা. মাহাবুবের অধীনে রিং পরানোর পর মারা যান গত বছরের ৭ নভেম্বর। এছাড়া, ডা. মাহাবুবুরের বিরুদ্ধে হার্টের রক্তনালীতে রিং পরিয়ে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় স্বামী লাল মিয়া (৫০) মারা যাওয়ায় চলতি বছরের ৮ নভেম্বর আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গুজাপাড়া গ্রামের মোসা. ফরিদা বেগম।

চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ডা. মাহাবুবুরের প্রতারণার শিকার গঙ্গাচড়ার মাসুমা বেগমের ছেলে মোহা. মশিউর রহমান লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হার্টের রক্তনালীতে ব্লক না থাকলেও ব্লক আছে বলে প্রতারণা করেছেন ডা. মাহবুবুর। তিনি অভিযোগপত্রে বলেন, ‘পেটে ব্যাথা হলে আমার মাকে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ডা. মাহাবুবুর রহমানের নিকট রংপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে দেখালে তিনি এনজিওগ্রাম করাতে বলেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ডা. মাহাবুবুর রহমান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করেন এবং বলেন যে, তার মায়ের হার্টের রক্তনালীতে ৭৫ শতাংশ ব্লক আছে। এক লক্ষ আশি হাজার টাকা দিয়ে রিং (স্টেন্ট) পরাতে হবে।’

অভিযোগপত্রে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ হলে ঢাকা ন্যাশন্যাল হার্ট ফাউন্ডেশনে দেখালে তিনি বলেন যে, আমার মায়ের হার্টে কোনো প্রকার ব্লক নেই। এরপর রংপুরে এসে ১৫ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুল ইসলাম স্যারকে দেখালে তিনিও বলেন যে, আমার মায়ের হার্টেরর রক্তনালীতে কোনো ব্লক নেই। এভাবে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মতো ঘটনা ডা. মাহাবুবুর রহমান সরকারি মেডিকেল কলেজে বসে করছেন এবং শুনেছি এরকম প্রতারণা করে তিনি প্রতিনিয়তই রিং বিক্রি করছেন।’

২০২৪ সালের ২৩ নভেম্বর গাইবান্ধার ভুক্তভোগী আতোয়ার রহমানও ডা. মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি একটি রিং পরিয়ে তিনটির টাকা নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান প্রতারণার মাধ্যমে উক্ত হাসপাতালে আমার হার্টের রক্তনালীতে একটি রিং (স্টেন্ট) পরিয়ে তিনটি রিংয়ের টাকা আদায় করে আত্মসাত করেছেন। ডা. মাহাবুবুর রহমান রিং পরানোর যে সিডি দিয়েছেন তাতে রিং লাগানোর কোনো নজির নেই। তবে হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় একটা রিং পরানোর রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু ডা. মাহাবুবুর তিনটি রিং লাগোনোর কথা বলে আমার নিকট থেকে তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা নিয়েছেন।’

ডা. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে আতোয়ার হোসেন ও মশিউর রহমানের অভিযোগের কপি দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিএমডিসি, রমেক হাসপাতাল, রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়। এর পর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে।

আরও অভিযোগ রয়েছে যে, গত পাঁচ বছর ধরে হার্টে সার্জারি করে নিজেই রিং বিক্রি করছেন ডা. মাহবুবুর রহমান। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল এ অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রভাবশালী মহলকে হাতে রেখেই তিনি এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়েও কয়েকটি অভিযোগ দুনীতি দমন কমিশন, স্বাস্থ্য অধিদফর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ঢাকা, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এবং রংপুর সিভিল সার্জন অফিসে ডাকযোগে এবং সরাসরি পাঠিয়ে ডা. মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুয়া ডিগ্রি ও বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে রিং বাণিজ্য করে যাচ্ছেন ডা. মাহবুবুর রহমান। তিনি এজন্য বিজ্ঞাপনও দেন তার ভিজিটিং কার্ড ও ফাইল ফোল্ডারে। যেখানে লেখা রয়েছে ‘সুখবর সুখবর সুখবর! আর নয় ঢাকা, আর নয় ইন্ডিয়া। এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই অতি অল্প খরচে হার্টের এনজিওগ্রাম, হার্টের রক্তনালীতে স্টেন্ট (রিং) বসানো (এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং) মাইট্রাল ভালভুলোপ্লাস্টি ও হার্টের পেসমেকার স্থাপন করছেন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।’ রিং বিক্রি বাড়াতে এভাবেই নিজের বিজ্ঞাপন দেন ডা. মাহাবুবুর, যা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী অপরাধ।

ডা. মাহবুবুর রহমান তার ভিজিটিং কার্ডে ও নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিএমডিসির এমডি (কার্ডিওলজি), এফএসিসি (আমেরিকা) এ ধরনের ভুয়া ডিগ্রি লিখে প্রলুব্ধ করেন রোগীদের। বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের প্রচার অনুচিত। কারণ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৯ (১) বলা হয়েছে ‘এই আইনের অধীনে কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করিবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে মর্মে কেউ মনে করেন, যদি না তা কোনো স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে।’ এই ধারা ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ যা বলছে

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান সারাবাংরাকে বলেন, ‘আমরা দু’জন ভুক্তভোগীর অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে তদন্ত কমিটিতে থাকার জন্য একজন প্রতিনিধি ও তার মতামত চেয়েছি। মতামত পেলে তদন্তের কার্যক্রম এগিয়ে নেব।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগে দু’জন ভুক্তভোগীর দেওয়া দু’টি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই চিকিৎসক দোষী কি না সে বিষয়ে তদন্ত কমিটির মতামত দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নতুন করে আরও একটি অভিযোগ এসেছে। সেটি ডা. শাহীন শাহ নামে এক চিকিৎসক দিয়েছেন।’ সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেয়েছে দুদুক। শিগগিরই কমিশনের সভায় অভিযোগটি তুলে ধরা হবে। সেখান থেকে কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু হবে।

সব অস্বীকার করে ডা. মাহবুবুর যা বলেন

তবে যার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ সেই ডা. মাহাবুবুর রহমান সব অস্বীকার করে সারাবাংরাকে বলেন, ‘রোগীর হার্টে রিং পরানোর পর তাকে রিপোর্ট কপি ও সিডি দেওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত তথ্য থাকে। এর পরও যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে সেটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘একটি মহল আমাকে নিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

অভিযোগ ডা. মাহবুবুর রহমান মৃত্যু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রিং বাণিজ্য হার্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর