Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:০৫ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০৮

ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে সভা হয়েছে। ছবি: ডিএমপি

ঢাকা: খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) তালেবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্‌যাপন করা হবে। এ ছাড়াও খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জির শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সম্মানিত নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

সভায় সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: ডিএমপি

বড়দিন সামনে রেখে যেসব নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, প্রতিটি চার্চে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হবে আর্চওয়ে দিয়ে, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে এবং অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে চার্চে যাওয়া যাবে না।

অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার প্যাট্রলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করবে ডিএমপি।

উৎসব দুটি সুষ্ঠুভাবে উদ্‌যাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতামত ও পরামর্শ দেন।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার; উপকমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা; খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

ডিএমপি ডিএমপি কমিশনার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর