রাখাইনে উত্তেজনা, নাফ নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ
১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫০ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩৭
কক্সবাজার: বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুসহ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ পথসহ নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে সব নৌ যান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বেলেন, রাখাইনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাফ নদীতে সব ধরনের নৌ যান চলাচল পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নৌ যান নিয়ে কেউ যেন নাফ নদীতে না নামে, এ বিষয়ে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধ ও যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নাফ নদীর জলপথ ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও। কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যেতে পারবে বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে লড়াই করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এর মধ্যে আরাকান আর্মি গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মিয়ানমারের এই যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সহযোগী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) কয়েকটি সংগঠনের অবস্থান জান্তা বাহিনীর পক্ষে। ফলে রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে চলে যাওয়ায় নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশও সে উদ্বেগ থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীতে টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি। সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জল ও স্থলে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সীমান্তের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে ছয় দিন ধরে মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী কোনো কার্গো ট্রলার ও জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি। মালামাল খালাস করা কার্গো ট্রলার ও জাহাজও মিয়ানমারের ফেরত যেতে পারছে না বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
সারাবাংলা/এনজে