Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৫২ হাজার টন সয়াবিন তেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৫ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৮

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাজারে ভোজ্যতেলের সংকটের মধ্যে চলতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানি করা প্রায় ৫২ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। বন্দর থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধনের পর চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব তেল বাজারে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্দরের তথ্যানুযায়ী, চার জাহাজে করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ৫২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ২১ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরের জলসীমায় আসে দুটি জাহাজ- এমটি আরডমোর শায়ানি ও এমটি ডাম্বলডোর। আর্জেন্টিনা থেকে এসব তেল আমদানি করা হয়েছে। এমটি আরডমোর শায়ানি তেল খালাস করে সোমবার বন্দর ছেড়েছে।

চার দিন পর মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ৩০ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় এসেছে আরও দুটি জাহাজ- এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার। এর মধ্যে সানি ভিক্টরি ব্রাজিল থেকে এবং জিঙ্গা থ্রেশার আর্জেন্টিনা থেকে তেল নিয়ে এসেছে। জাহাজগুলো থেকে তেল খালাসের প্রক্রিয়া অবশ্য এখনও শুরু হয়নি।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘৫২ হাজার মেট্রিকটন ক্রুড অয়েল নিয়ে চারটা জাহাজ এসেছে। একটা জাহাজের তেল খালাস অলরেডি শেষ হয়েছে। বাকি তিনটিও আউটার অ্যাংকারেজে খালাসের প্রক্রিয়ায় আছে।’

সূত্র মতে, চার জাহাজে আসা ৫২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন তেলের মধ্যে টিকে গ্রুপ ২৫ হাজার টন, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ হাজার ১০০ টন এবং টিকে গ্রুপ এনেছে ২০ হাজার টন তেল। আমদানি করা এসব তেলের টনপ্রতি দর পড়েছে ১ হাজার ২১৭ ডলার।

বিজ্ঞাপন

সিটি গ্রুপের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘খালাসের পর কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করে আমরা ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে তেল বাজারে দিতে পারব। আশা করছি, তেলের যে সাময়িক ক্রাইসিস সেটা থাকবে না। সব কারখানা থেকে বাজারে পর্যাপ্ত তেল যাবে। যদিও আমদানি করা এসব তেল মূল্য সমন্বয়ের অনেক আগে খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে আনা হয়েছে। তবে সমন্বয়ের পর এখন আমদানি আরও বাড়বে। রমজানে তেলের কোনো ক্রাইসিস হবে না।’

গত দু’সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট চলে আসছিল। খুচরা পর্যায়ে দোকান থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল অনেকটা উধাও হয়ে গিয়েছিল। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, কারখানাগুলো তেলের সরবরাহ কার্যত বন্ধ করে দেয়ায় এ সংকট তৈরি হয়।

এ পরিস্থিতিতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সরকার বোতলের ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম পুননির্ধারণ করে দেয়। দুই ধরনের সয়াবিন তেলেই লিটারে দাম বেড়েছে ৮ টাকা। এখন প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা ও খোলা ১৫৭ টাকা। আগে বোতলের তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হতো।

দাম পুননির্ধারণের পর অবশ্য বাজারে বোতলের সয়াবিন তেলের সরবারহ স্বাভাবিক হয়েছে এবং সংকট অনেকটাই কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

চট্টগ্রাম বন্দর টপ নিউজ সয়াবিন তেল

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর