Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চূড়ান্ত হচ্ছে নদ-নদীর তালিকা, প্রকাশ পহেলা বৈশাখ

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৪ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৪৮

বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক এক অবহিতকরণ সেমিনার।

ঢাকা: দেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত তার তালিকা তৈরি করতে যাচ্ছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আর এ কাজে যুক্ত থাকবে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। তালিকা চূড়ান্ত হলে তা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের পহেলা বৈশাখে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক এক অবহিতকরণ সেমিনারে পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবাহহীন বলতে পারেন। প্রবাহহীন নদীকে প্রবাহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে। মৃত নদী দেখিয়ে নদীর জায়গা ইজারা বা লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু হাওরের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি, আমরা বিলেরও একটা তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। পরবর্তী কাজ হচ্ছে খালের তালিকা চূড়ান্ত করা।’

অবহিতকরণ সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আজকে থেকে আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলার সকল খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাছাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য উপদেষ্টা নির্দেশনা দেন।

ঢাকার চারপাশে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এবং শীতলক্ষ্যা এই তিনটি নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার একটা বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করে কাজ শুরু করার জন্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ভিতরে থাকা ২১টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু-নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। এটির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে।’ এছাড়া তিনি জানান, দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা অচিরেই শুরু করে দেব।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নদী বিধৌত দেশ। এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নদ-নদীর উপর নির্ভরশীল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, উন্নয়নের নামে নদ-নদী খালবিল দখল করা হয়েছে। নদীকে বাঁচাতে হলে দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। নদী বাঁচানোর এখনই উপযুক্ত সময়। অন্য সময় করতে হলে স্বার্থের সংঘাত শুরু হবে।’

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জেআর/এইচআই

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান নদ-নদীর তালিকা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর