Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩১

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

খুলনা: মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসায় সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন এই দুই বীর যোদ্ধা।

দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় ঐতিহ্যবাহী রূপসা প্রেসক্লাব দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির প্রথম দিনে সন্ধ্যা ৬টায় আট দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। টুর্নামেন্টে প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

খেলায় চিত্তরঞ্জন সেন ও রেজাইল ইসলাম তুরান জুটি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ এবং মো. আব্দুল কাদের শেখ ও নাঈমুজ্জামান শরীফ জুটি রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ দ্বিতীয় দিনে পূর্ব রূপসা মাজার প্রাঙ্গণে রূপসা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং রাত ১০টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল বারী হেলাল যোগদানের কথা রয়েছে।

দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে খুলনাকে শত্রুমুক্ত করতে রণতরী ‘পলাশ’, ‘পদ্মা’ ও ‘গানবোট পানভেল’ নিয়ে যাত্রাকালে শিপইয়ার্ডের অদূরে বিমানের নিক্ষিপ্ত গোলায় ‘পলাশে’ থাকা এই দুই সূর্যসন্তানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে সমাহিত করেন।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাঘপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আজহার পাটোয়ারী ও মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।

অপরদিকে,বীর বিক্রম মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ১৯৪৪ সালের ৩১ আগষ্ট চাঁদপুরের শাহেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. সুজাত আলী ও মায়ের নাম রফিকাতুন্নেছা। তিনি ১৯৬২ সালে নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একই সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

দেশ স্বাধীনের পর রুহুল আমিনকে বীরশ্রেষ্ঠ ও মহিবুল্লাহকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মৃত্যুবার্ষিকী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর