Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়ে বোর্ডিং স্কুল প্রয়োজন: রাঙ্গামাটির নতুন ডিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৯ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২২

রাঙ্গামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বোর্ডিং স্কুল অর্থাৎ থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাসহ বিদ্যালয় বেশি প্রয়োজনীয় মনে করছেন রাঙ্গামাটির নতুন জেলাপ্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলাপ্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

জেলাপ্রশাসক বলেন, আমি কালকেই (রোববার) জেনেছি, রাঙ্গামাটিতে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি শিক্ষকের পদ খালী। প্রাথমিক বিদ্যালয় তো শিক্ষার্থীদের জন্য ফাউন্ডেশন। এখানে পাহাড়ের ছেলে-মেয়েরা অনেক দূরদূরান্ত গিয়ে পড়াশোনা করে। আমি মনে করি এখানে বোর্ডিং স্কুল প্রয়োজন। আমি এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।

ডিসি হাবিব উল্লাহ বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ গরীব মানুষ, পাহাড়ি-বাঙালি সকলেই। লেক (কাপ্তাই হ্রদ) নিয়ে আপনারা আজীবন চলবেন, এটা ভুলে যেতে হবে। আপনার-আমার সন্তানকে বিকল্প দিতে হবে। তাদের স্কিল দিতে হবে, তাদের স্কিল দিলে তারা ভালো কাজ করবে: বিদেশে যেতে পারবে। আমাদের সকলেই মিলে-মিশে চলতে হবে।

সভায় রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবমাথ, রাঙ্গামাটি জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, পার্বত্য সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বড়ুয়াসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় রাঙ্গামাটির সাংবাদিকরা জেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা, পর্যটন, অর্থনীতিকে প্রধান্য দিয়ে নতুন জেলাপ্রশাসক হাবিব উল্লাহকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) নতুন জেলাপ্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় যোগদান করেন অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিসিএস (প্রশাসন) ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে তার ধারণা উঠে এসেছে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি আলোচনায়।

সারাবাংলা/ইআ

রাঙ্গামাটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর