আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৪ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩১
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন।
মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাৎ কী? শেখ হাসিনা মনে করত বিএনপি ও জামায়াত করলেই অপরাধী, এখন তো আপনারা সেটাই করছেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণে হোক।
যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোনো আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাইে আমরা তা প্রতিহত করবো। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নাই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি আছে, বিজিবি আছেন না?
রোববার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০ আসন। তাদের ভোটের হার ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০ আসন। তাদের ভাটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭ আসন। ভোটের হার ছিল ০৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে একটা অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদাররা বলেছিল আমরা মানুষ চাইনা মাটি চাই। পোড়ামাটি নীতিতে মানুষকে গাদ্দার মনে করা হয়েছিল। ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে বাদ দিয়ে সুন্দর দেশ গড়া বাস্তবসম্মত নয়। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল মিটিং করা সাংবিধানিক অধিকার। তা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সেলফ সেন্সরশিপ চলছে। সাংবাদিকরা ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। পাসপোর্ট পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। নির্বিচারে লোকদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে কিন্তু জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত একটি পত্রিকায় দেখেছি প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেছেন, রাষ্ট্রসংস্কার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার চলে গেলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। অত্যন্ত সত্য কথা। আন্দোলনটা ছিল শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কারণ, শেখ হাসিনা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার লোকজন লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছিল।’
জিএম কাদের বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির মুক্তি মিলবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ধরণের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দানবীয় সরকার গঠন করেছিল। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য শুধু ছাত্র না আজীবন সকল শ্রেণিপেশার মানুষ যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীতে এটি সংসদেও পাশ করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করছে? এখন দেখা যাচ্ছে ঐক্যের চেয়ে প্রতিশোধের বিষয়টি সামনে আসছে। কেউ অপরাধ করলে বিচার করতে হবে, সরকার প্রতিশোধ পরায়ন হলে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আইনে বলা আছে ১০টি অপরাধী ছাড়া পেলেও যেন একজন নিরপরাধ শাস্তি না পায়। আপনারা সেটা ফলো করছেন? হত্যা মামলায় লাখ লাখ মানুষকে আসামি করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা হচ্ছে সরকারের শক্তির উৎস্য। শক্তিশালী হাতকে লুলা করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবসময় সবার সমর্থনে সাফল্য পেয়েছে। শরিয়া আইনে আছে মানুষের বিচার করতে হবে তার নিয়ত দেখে, তার কাজ দেখে নয়। পুলিশের কিছু সদস্য চাকরি করে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য। তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। ইচ্ছা করে সবাই শেখ হাসিনার অপকর্মে জড়িত হয়নি। সবাইকে ঢালাও করে অপরাধী করলেন, শত্রু বানালেন, বাদ দিলেন… এরমধ্যেই শূন্যস্থানগুলোতে পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে।’
জাতীয় পার্টির সভাপতি বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসন এখন অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ে তাদের নিয়োগ দাতাদের কথা বেশি শুনছেন। এমন প্রশাসন দিয়ে কিভাবে সংস্কার ও নির্বাচন হবে? শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। দেশের ব্যবসায়ীসহ সকল পেশাজীবীরা চিন্তিত ও দুরদশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও হাত দিয়েছে, আমরা সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার সেই সমর্থন পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। ওনাদের সাথে কথা বলে আমরা সেটি হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। তারা কর্মচারী দিয়ে সেই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে এমনকি ছবি তুলতেও নিষেধ ছিল তাতে। তারা সময় দিয়েও আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করতে চাইনি। আমরা এতো ঘৃণ্য হয়ে গেলাম? আমরা এতো নীচ হয়ে গেলাম। আমাদের হাত থেকে প্রস্তাবনা নিতে ঘৃণা হয়? ঘৃণা সবসময় ঘৃণার জন্ম দেয়। আমরা জানি, আপনারা সবাই ভালো মানুষ। কিন্তু কাজ করার জন্য যে শক্তি দরকার আপনারা তা হারিয়ে ফেলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে পথে ঘাটে নির্যাতন করা হচ্ছে। এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন এখন কার কথায় চলছে? এমন বাস্তবতায় আমাদের লোকজন ভোট দিতে পারবে? আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতে পারবে? আওয়ামী লীগের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে সব পাশ করিয়ে দিলেন, সেটা কি টেকসই হবে? এমন সংস্কারে কি রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে? অস্থিরতা কি থামবে? দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? দেশে অরাজকতা ও অস্থিরিতার বীজ বপন হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনে জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন? নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক। কোন রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইন বিরোধী না হয় তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। তাদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই নিয়ম।’
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। ভালো নির্বাচন হবে, আরও ভালো গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তিন জোটের রূপ রেখায়। তাতে কমিটমেন্ট ছিল দেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হবে। তাদের এই অঙ্গীকারে শ্রদ্ধাশীল হয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তিনি মনে করেছিলেন, জনগণ এমন প্রত্যাশা করছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবসময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছেন। একইভাবে তিনি ক্ষমতা গ্রহণও করেছিলেন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। বিএনপি কিছু নেতাসহ সকল রাজনৈতিক দল তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বাগত জানিয়েছিল। পরবর্তীতে অনেকে বলেছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। কখনো কখনো অসাংবিধানিকভাবেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়, এটা এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে কখনো অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করা হলেও তা কখনো কখনো নিন্দনীয় নয়। এটা এখন প্রমাণ হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রপ্রধান। দেশের জনগণ যখন যা প্রত্যাশা করেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা পালন করেছে।’
কাদের বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যনীতি করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন জনগণের একটি অংশ থেকে বাঁধা আসায় তিনি তা বাস্তবায়ন করেনি। এখন অবশ্য অনেকেই বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্যোগই সঠিক ছিল। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও দিয়েছিলেন যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছিল। হুসেইন মহম্মদ এরশাদ সবার সম্মতি নিয়েই ওষুধ নীতি করেছিলেন, দেশের মানুষ এখন তার সুফল ভোগ করছে। তিনি বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু যখন আদালত এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে রায় দিয়েছে, তখন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছেন। বিরোধী দলগুলোর আহ্বানে তিনি পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতে রাজি হয়েছিলেন। ওই সময় বিরোধী দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরবর্তীতে তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জানতেন জনগণের সমর্থন জাতীয় পার্টির ওপর আছে। সেটা প্রমাণ হয়েছে পরপর দুইটি নির্বাচনে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কারাগারে থেকে ৫টি করে আসনে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আমৃত্য কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি।’
জিএম কাদের আরও বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেল থেকে মুক্তি পেলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ চায়ের আমন্ত্রণ জানান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে আমিও ছিলাম। তখন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৯১ সালের নির্বাচনের সময়ে তার অপারগতা ও সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই নির্বাচিত হবেন, তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে। ইরাকের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি স্বর্ণের পিস্তল উপহার দিয়েছিলেন। সরকার যখন অস্ত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয় তখন সেই অস্ত্রটি জমা দেওয়ার সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে অস্ত্র মামলা দায়ের করেছিল। মামলা চলাকালীন অস্ত্র মামলার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আপিলে তিনি এই মামলা থেকে মুক্তি পান। মঞ্জুর হত্যার ১৪ বছর পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। যখনই মামলাটির রায় ঘোষণা হবে তখণই বিচারক বদল করে ওই মামলাটি নতুন করে চালু করা হয়েছিল অন্তত ২২ বার। আমৃত্য এই মিথ্যা মামলার আসামি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একটি মানি স্যুট মামলায় তাকে ২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই মামলার রায় জাতীয় পার্টির পক্ষে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রক্তে যখন বিলিরুবিন ২৭ থেকে ২৮ তখন আমরা বারবার আবেদন করলেও সরকার তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়নি। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অসংখ্য মামলা হলেও ডা. মিলন ও নূর হোসেন হত্যা মামলা দায়ের করা হলো না কেন? অপবাদ দেয়া হলেও কোন সরকারই নূর হোসেন ও ডা. মিলন হত্যার মামলা করেনি। দেশ ও জাতির স্বার্থে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করছি, একই সঙ্গে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেটে মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আখতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, শেরীফা কাদের, মাসরুর মওলা, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার, নোমান মিয়া, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, মো. জাহিদ হাসান, মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, গোলাম রহমান মামুন, মেজর অব. মাহফুজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মো. হেলাল উদ্দিন, আব্দুল হামিদ ভাষানী, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান মানসুর।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসআর