‘বাংলাদেশে আর কখনো ভারতের আধিপত্য থাকবে না’
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২২ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২২
ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো কোনোদিন ভারতের আধিপত্য বজায় থাকবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, আমাদের মনে যতদিন আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ ও সাজিদ থাকবে ততদিন ভারত আমাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। এখন থেকে ভারতের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা হবে। সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রিন্সিপালগত মতপার্থক্য থাকবে, এটা হলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এই দেশের অখণ্ডতা, বিদেশি আগ্রাসন, সার্বভৌমত্ব- এসবের প্রশ্নে কোন আপস চলবে না। সবাইকে একমত হতে বাধ্য করা- এটি শেখ হাসিনিও (আওয়ামী) কালচার।’
হাসনাত বলেন, ‘মতপার্থক্য পরমতসহিষ্ণুতার মধ্যে থাকতে হবে। আমাদের দ্বিমত প্রকাশ থাকবে, সেটা যেন সৌন্দর্যের কালচারের মধ্যে থাকে। সেটি যেন আওয়ামী লীগের দমন পীড়নের মতো করে না হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনারা যারা ভারতের পলিসি মেকার আছেন, মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি, শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাদ্য হয়েছে, ভুটান আর মিয়ানমারের সাথে আপনাদের কোন্দল। পাশ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে আপনাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ধমীয় কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়নি। তাই যদি হতো তাহলে নেপালে ৮১ শতাংশ হিন্দু। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের সঙ্গে কেন আপনাদের ভালো সম্পর্ক নেই?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতদিন ঐক্য আছে, ততদিন কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে হলে, সেই পথ অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।
সারাবাংলা/পিটিএম