‘ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও হিজড়ারা মৌলিক মানবাধিকার বঞ্চিত’
৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪২ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৪৭
ঢাকা: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে মাদকগ্রহনকারী, নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মাধ্যমে তারা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। একজন মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সমাজের সকলের।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে ইউএনএআইডিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।
সেমিনারে এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং এর অবস্থার উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক সেমিনারটি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের আয়োজন করে। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএআইডিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি/এইডস প্রোগ্রামের চীপ অফ পার্টি ড. রনওক খান বলেন, ‘এইচআইভি প্রতিরোধ, চিকিৎসা সেবার অধিকার থাকা উচিত। এজন্য তিনি বৈষম্য ও কুসংস্কার মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এইচআইভি/এইডস প্রোগ্রামের অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেসী এন্ড হিউম্যান রাইটস এজাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ন জনগোষ্ঠীর ন্যায্য আধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা মূলক সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। তাদের অধিকার নিশ্চিতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে তাদের কল্যাণে কাজ করার কথা বলেন।’
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, ‘এইচআইভি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা স্বপ্ন দেখি ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে এইডসমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ।’
উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম প্রোগ্রাম অফিস ইন বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর (ড্রাগস এন্ড এইচআইভি/এইডস) মো. আবু তাহের, এএসপির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আশার আলো সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহমান, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি, আপোস এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার পল্টু প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের এইচআইভি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী নানা ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সমাজে, তাই একজন মানুষ হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকলের।’
সারাবাংলা/জিএস/এইচআই