সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে আলেপ্পো, নিহত শতাধিক
৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৮ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০
সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী বড় কোনো বাধার মুখোমুখি না হয়েই আলেপ্পো শহরের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচয়ার) এ তথ্য জানিয়েছে।
এসওএইচআর আরও জানায়, গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৭৭ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২০ জনেরও বেশি মানুষ বেসামরিক।
এই অভিযান সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা। ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীর দ্বারা বিতাড়িত হওয়ার পর এটি বিদ্রোহীদের প্রথমবারের মতো আলেপ্পোতে প্রবেশ।
সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইদলিব ও আলেপ্পোর কিছু এলাকায় অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। অন্যদিকে বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের মিত্ররা জানিয়েছে যে তারা নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।
বিবিসির প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর ভেতরে যানবাহনে চলাচল করছে। এটি শহরের পশ্চিমাংশ বলে ভিডিওগুলো থেকে ধারণা করা গেছে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১১ সালে শুরু হয়, যখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জবাবে দমন-পীড়ন চালানো হয়। এই বিক্ষোভগুলো আরব বসন্তের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের দাবিতে শুরু হয়েছিল।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে ৬০ লক্ষ মানুষ সিরিয়ার বাইরে শরণার্থী হিসেবে আছেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এই যুদ্ধের সময় দেশের অনেক এলাকা দখল করে। তবে পরে সিরিয়ার সরকার রাশিয়া ও অন্য মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ এলাকা ফিরে পায়।
ইদলিব প্রদেশ এখনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে, যেখানে এইচটিএস এবং তুর্কি-সমর্থিত বিদ্রোহীরা অবস্থান করছে। গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ইদলিবে সিরিয়ান ও রাশিয়ান বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, তারা উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে।
সারাবাংলা/এনজে