প্রেসক্লাবে রিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ, হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪১
ঢাকা: রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা। উচ্চ আদালত থেকে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এর প্রতিবাদেই তারা জড়ো হয়েছেন। বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে প্রতি আহ্বান জানিয়ে শ্রমিকরা বলেছেন, প্রয়োজনে হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট দলে এসে রিকশা শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন। সকাল ১১টা নাগাদ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা জানান, আজ বিক্ষোভে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরাই নয়, অটোচালকরাও এসেছেন। আমরা হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চাই। আমরা জীবিকার জন্য অটো চালাই।
ব্যাটারিচালিত রিকশায় আয় বেশি, কষ্ট কম, জনগণের চাহিদাও বেশি; এটি কেন বন্ধ হবে— এমন প্রশ্ন তোলেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা এ দিনও ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। প্রেসক্লাব ছাড়াও রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তারা অবস্থান নিয়েছেন।
অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আশপাশের সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রাজধানী ঢাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে অটোরিকশাচালকরা বিক্ষোভ করেছিলেন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বড় কর্মসূচি পালন করেন গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন সকালেই রাজধানীর মিরপুর, গাবতলী, দারুস সালাম, মোহাম্মদপুর, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা দলে দলে সড়কে নেমে আসেন। তাদের ব্যাপক অবস্থানের কারণে বলতে গেলে গোটা ঢাকা স্থবির হয়ে পড়ে। মহাখালী রেলগেট এলাকা অবরোধ করায় সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রিকশাচালকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মিরপুর ও মহাখালীতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে রিকশাচালকদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর রিকশাচালকরা সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন। ছয় ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হয়।
পরদিন শুক্রবারও জুরাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার পর তারা সড়ক ছাড়েন।
সারাবাংলা/ইউজে/এসডব্লিউ/আরএস