ছুরিকাঘাতে সাবেক যুবদল নেতার মৃত্যু
২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩১ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৩
ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। গত ১৫ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত জিয়ার বড় ভাই মো.সায়েম জানান, হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনে তাদের স্থায়ী বাড়ি। তার বাবার নাম মৃত হাজী আফতাব উদ্দিন। অবিবাহিত ছিলেন জিয়া। দুইভাই এক বোনের মধ্যে জিয়া ছিলেন মেজো।
সায়েম আরও জানান, গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় জিয়াকে বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে তাকে নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর আবার ঢামেকে এনে ভর্তি করা হয়৷ পরে আজ ভোরে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে হাজারীবাগ পাম্পের পাশে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি সালিশি বিচার হয়। সেখানে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমনের নির্দেশে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে আরও কয়েকজন যুবক। এর মধ্যে জিয়ার ভাগিনার এক বন্ধুর কাছ থেকেও টাকা নেয় তারা।
পরদিন ভুক্তভোগী যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, তারা ওই কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে নির্দেশদাতা সন্ত্রাসী সুমন রেগে যান এবং জিয়া ওই যুবকদের ফুসলিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় সুমনের নির্দেশে বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ অনেক যুবক মিলে জিয়াকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন।
এদিকে, হাজারীবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম জানান, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে এনায়েতগঞ্জ এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিয়াকে আঘাত করে হামলাকারীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় মৃতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামী ধরার জন্য অভিযান চলছে।’
সারাবাংলা/এসএসআর/এসডব্লিউ