যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে লেবানন-হিজবুল্লাহর সম্মতি
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৮ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৫
ইসারয়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর চলমান যুদ্ধের মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হাজির করেছে। লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লেবানন ও হিজবুল্লাহ উভয়েই এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের এই উদ্যোগকে এখন পর্যন্ত উঠে আসা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে আন্তরিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়ছে, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে ইসরায়েল সরাসরি হামলা শুরু করে লেবাননের ইরানপন্থি রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর। হামলায় হিজবুল্লাহর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভুগতে হচ্ছে লেবাননকেও।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিষয়ে অবহিত একজন কূটনীতিক বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু চূড়ান্ত করে চুক্তিতে উপনীত হতে আরও সময় লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন দূত এমেস হকস্টেইন শিগগিরই বৈরুতে যাবেন। সেখানেই তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে এরই মধ্যে হিজবুল্লাহর নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত হয়েছেন শীর্ষ আরও কয়েকজন নেতা। ইসরায়েলের বিমান হামলায় বৈরুতে হিজবুল্লাহর কোনো কার্যালয়ই আর অক্ষত নেই, সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সেনারা এখন দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর মিলছে।
হকস্টাইন গত বছরও ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বিবদমান দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি থামানোর বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তার কোনো প্রচেষ্টাই সাফল্যের মুখ দেখেনি। অবশ্য তিনি সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী।
লেবানন সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরির সহযোগী আলি হাসান খলিল জানিয়েছেন, লেবানন সোমবার তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠিয়েছে। হিজবুল্লাহও তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতা করার অনুমোদন দিয়েছে।
খলিল বলেন, জাতিসংঘের ১৭০১ প্রস্তাবের বিধান পুরোপুরি মেনে আমরা আমাদের সব মন্তব্য উপস্থাপন করেছি। এ উদ্যোগের সাফল্য এখন নির্ভর করছে ইসরায়েলর ওপর। ইসরায়েল যদি কোনো সমাধান না চায়, তাহলে তারা নানা ধরনের ঝামেলা তৈরি করতে পারে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বিষয়ে লেবাননের সর্বশেষ মূল্যায়ন নিয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। সবশেষ বেরি জানিয়েছিলেন, কূটনীতিতে তিনি একটি ইতিবাচক আবহ দেখতে পাচ্ছেন। তবে বেরির সঙ্গে বৈঠক করার পর লেবাননের শ্রমমন্ত্রী মোস্তফা বায়রাম বলেছেন, কোনো কিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগেই যেন অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কিছু না করে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সারাবাংলা/টিআর