রাজশাহীতে ছাত্রদের দখলে মাঠ, দেখা মেলেনি আ.লীগের
১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২২ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০২:০৩
রাজশাহী: রাজশাহীতে সকাল থেকে মাঠ দখলে রেখেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহীতে নূর হোসেন দিবসের কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেননি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। এ দিন রাজপথ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দখলে থাকলেও শোডাউন দিয়েছেন ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আগের রাতেই নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সে অনুযায়ী রোববার দুপুরে ছাত্ররা প্রথমেই জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করেন। সেখানে শুরু হয় সমাবেশ।
বক্তারা বলেন, নূর হোসেনের কাঁধে চেপে পতিত সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রত্যাবর্তন এখন আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নিজ হাতে গণতন্ত্র হত্যা করে, গণহত্যা চালিয়ে ভুয়া হুঙ্কার দিয়ে ফিরে আসতে চাইলে শিক্ষার্থীরাই তাদের প্রতিহত করবে। গণতন্ত্র রক্ষায় শিক্ষার্থীরা মাঠে ছিল, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাইতে ও জুলাই গণহত্যার বিচার মেনে নিতে বলেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে অন্তবর্তী সরকারের বিচারব্যবস্থা ও সংস্কার প্রক্রিয়া মানতেও দাবি করেন তারা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ফ্যাসিজম প্রতিহত করতে যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা মাঠে নামতে ও থাকতে প্রস্তুত। তারা ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে ঢালা রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেবেন না।
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, মুন্না, সাব্বির হোসেন, রাজশাহী কলেজের সমন্বয়ক আব্দুর রহিম, রাবির সমন্বয়ক রাশেদ রাজনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী নগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়। এতে জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর