অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৯
ঢাকা: বাংলাদেশে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়ে গেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে ।
বিবিএস প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এটি অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের দুই মাস পর মূল্যস্ফীতির প্রথম বৃদ্ধি। খাদ্য-দ্রব্যের দাম বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়ে গেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্য-বহির্ভূত দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এছাড়া, গ্রামীণ এলাকাগুলোতে মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর শহুরে এলাকায় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, আগস্টে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু অক্টোবরে ফের মূল্যস্ফীতি বাড়ল।
বিবিএস জানিয়েছে, এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা গত বছরের ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। স্থির আয়ের মানুষ, বিশেষ করে অদক্ষ শ্রমিকরা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে অসুবিধায় পড়ছেন। যদিও তাদের মজুরি সামান্য বেড়েছে। কিন্তু তারা জীবনযাত্রার উচ্চমূল্য সহ্য করতে পারছেন না।
এদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ হলো- খাদ্যদ্রব্যের মজুদ বাড়তে হবে। সেইসঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী ও দাম মনিটরিংয়ে আরও তৎপর হতে হবে।
তারা বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে প্রতিফলিত হয়নি। কারণ, দেশে বাজার ব্যবস্থাপনা দুর্বল এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম