৩ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের তাঁতীবাজার সড়ক অবরোধ
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩১ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪
ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা বাস্তবায়নে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসন, কবে দিবে প্রশাসন?’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, যত পারো রক্ত নাও, সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাস দাও’, ‘জমি নিতেই ছয় বছর, হল হতে কয় বছর’, ‘টেন্ডারবাজ প্রশাসন চলবে না, চলবে না, মুলা ঝোলানো প্রশাসন চলবে না, চলবে না’, ‘বছরের পর বছর যায় প্রশাসন শুধু মুলা ঝুলায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো, আগের সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনা এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দেওয়া, সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন ঘোষণা এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, প্রশাসন কাজে গড়িমসি করছে। যেখানে এক থেকে দুই বছরে একটা পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়ে যায়- সেখানে বছরের পর বছর কাজ চলে কিন্তু শেষ হয় না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে কাজের অগ্রগতি থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কাছে ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত হস্তান্তরের দাবি জানাই।
আন্দোলনের সংগঠক রাকিব বলেন, আমাদের হল নাই, ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি ক্যাম্পাস হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কোন কাজের কাজ হচ্ছে না।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আজকের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রনালয় যদি আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আটকা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা এমন না যে বললেই কাজটা হয়ে যাবে। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সময় তো লাগবে।
সারাবাংলা/এসআর