Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১১ কোটি নাগরিকের তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪০ | আপডেট: ৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৪৪

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘১১ কোটি নাগরিকের তথ্য চুরির ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেআইনিভাবে দেশি-বিদেশি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তির অনুচ্ছেদ-২ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

চুক্তি অনুসারে ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে দেওয়া করা হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নাগরিকের ব্যাক্তিগত তথ্যের মিরর কপিটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য দেয়। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত এই তথ্যসমূহ porichoy.gov.bd/ নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৮০ টিরও বেশি দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বচন কমিশন সচিবালয়ে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংম্বলিত ডাটা সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্বীকৃত। গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে পরিকাঠামো থেকে উপাত্ত ভাণ্ডারের (ডাটাব্যাজের) অনুলিপি সংগ্রহ করে স্থানান্তর করে এবং ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক প্রতারণা করে।

এ ছাড়াও, তারা ব্যক্তির আইনগত কর্তৃত্ব ছাড়া ব্যক্তিগত নাগরিক তথ্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। প্রাথমিকভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারে ২০ হাজার কোটি টাকার ই-ট্রানজেকশনের তথ্য পাওয়া গেছে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

১১ কোটি নাগরিক ২০ হাজার কোটি টাকা টপ নিউজ তথ্য ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার বিক্রি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর