সাবেক এমপি হেনরী ও তার স্বামী ৭ দিনের রিমান্ডে
২ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০১ | আপডেট: ২ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৪
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে সদর থানা পুলিশ তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রঞ্জু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় রিমান্ডের বিরোধিতা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরে দীর্ঘ প্রায় ৩২ মিনিট শুনানি শেষে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ (সদর আমলী আদালত) এর বিচারক মো. রাসেল মাহমুদ তাদের দু’জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী রফিক সরকার বলেন, ‘তাদের নামে তিনটি হত্যা ও অস্ত্র আইনে একটি মামলা রয়েছে। তিনটিতেই তারা এজাহার নামীয় আসামি। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এই মামলায় জান্নাত আরা হেনরী ৭ নম্বর ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবু ৯ নম্বর আসামি। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করি। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু, ছাত্রদলের সদস্য মো. সুমন ও যুবদলের কর্মী আব্দুল লতিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত (২২ আগস্ট) রাতে নিহত রঞ্জুর স্ত্রী পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমী খাতুন, ছাত্রদলের কর্মী নিহত সুমনের বাবা শহরের গয়লা মহল্লার গঞ্জের আলী এবং একই মহল্লার নিহত যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা খাতুন বাদী হয়ে সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই তিনটি হত্যা মামলা ছাড়াও সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তাদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গুলি জমা না দিয়ে নিজ দখলে রাখা এবং পরে তাদের সেই অস্ত্র ও গুলি সদর উপজেলার একটি নির্মাণাধীন মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা হয়। এই চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তারা।
এর আগে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার বর্ষিজোড়া গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদের আদালতে আনা হয়।