রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা, ৪ দাবি শিক্ষার্থীদের
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৬
রাবি: সেশনজট নিরসন, ৪ মাসে সেমিস্টার সমাপ্তিসহ চার দফা দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে বিভাগের সামনে অবস্থান করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্লাস শুরু পর প্রায় ১০ মাস পার হলেও এখনো হয়নি সেমিস্টার পরীক্ষা। প্রত্যেক বর্ষের শিক্ষার্থী ভয়াবহ সেশন জটে পড়েছেন। বিভাগের কাছে কয়েক দফা আলোচনা করলেও তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন, কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাই সব সেমিস্টার এখন থেকে পরীক্ষাসহ ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অর্থাৎ এক বছরে তিন সেমিস্টার যাতে শেষ হয় সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের, ‘পরীক্ষা কেন ধীরগতি, কি করছেন সভাপতি’, ‘রেজাল্ট কেন দশ মাসে, রেজাল্ট চাই এক মাসে’, ‘দুই বছরে দুই সেমিস্টার ,ধিক্কার ধিক্কার’, ‘শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রুখে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘১২ মাসে সেমিস্টার, চলবে না চলবে না’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইনসান আলী বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে প্রায় ১০ মাস হতে চললো। কিন্তু এখনো আমাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হলো না। এমনকি আমাদের ফরম ফিলআপও শুরু হয়নি। আমাদের বিভাগের নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদ প্রায় ৩ মাস। শুরু থেকেই তার কাছে আমাদের পরীক্ষার বিষয় নিয়ে বার বার গিয়েছি। আলাদা আলাদাভাবে এবং দলগত ভাবে আলোচনা করেছি স্যারের সাথে। তিনি শুধু আমাদের ধৈর্য ধরার কথা বলে কালক্ষেপণ করেছে। এখন যতদ্রুত সম্ভব আমাদের পরীক্ষা শুরু হোক সেটাই চাই।’
বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শেখ ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই না ছোট ভাই-বোনেরা আর আমাদের মতো সেশন জোটের মতো মানসিক যন্ত্রণায় থাকুক। কতটা ধীরগতি হলে একটা সেমিস্টার শেষ করতে ১২ মাস লেগে যায়। আমরা চার দফা দাবিতে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। গত ২২ সেপ্টেম্বর আমরা বিভাগের সভাপতি বরাবর ৪ দফা পেশ করে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেই। এই চার দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের সভাপতির কাছে ৪ দফা দাবি নিয়ে দু’দিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সারাবাংলা/এমও