কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা: ৩ জনের ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৬
নাটোর: নাটোরে এক কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় তিন আসামির প্রত্যেককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আট বছর আগে মেয়েটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। অপহরণের ১৮ দিন পর মেয়েটির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তিন আসামির কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
রায়ে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম (৩৩), একই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরীফ (৩১) এবং আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩১)।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার বেলঘড়িয়া তালতলা এলাকা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে স্কুলশিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান সেলিম, শরীফ ও মনির। তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করেন। মেয়েটির মরদেহ তারা মাটিতে পুঁতে রাখেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১ জুন নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ভিকটিমের মায়ের দায়ের করা জিডির আলোকে পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরের ১৭ জুন ওই এলাকার একটি আখ ক্ষেত থেকে মেয়েটির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তদন্তে অপহরণ, ধর্ষণ ও মরদেহ গুমের ঘটনায় ওই তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।
সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আট বছর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তিন আসামি সেলিম, শরীফ ও মনিরকে একটি ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (৩০ বছর) ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড সাজা দেন। অন্য একটি ধারায় আসামিদের ১৪ বছরের সাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড সাজা দেন।
সারাবাংলা/টিআর
কিশোরীকে অপহরণ ধর্ষণ ধর্ষণের পর হত্যা নাটোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড