ভৈরবে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৭ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৪
কিশোরগঞ্জ: জেলার ভৈরবে স্বামী মাহবুবুর রহমানকে হত্যার দায়ে স্ত্রী মোছা. রোকসানা আক্তার (৩৪) ও তার প্রেমিক আসিফ আহম্মেদকে (২৬) মত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাখাল চন্দ্র দে এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রোকসানা আক্তার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের উত্তর পাড়া গ্রামের মো. শহিদ মিয়ার মেয়ে ও তার প্রেমিক আসিফ আহম্মেদ একই এলাকার বাবুল আহম্মেদের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিক্টিম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে চাকরি করতেন। রোকসানার সঙ্গে মাহবুবুর রহমানের ২০০৮ সালে বিয়ে হয়। তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসএসফিটার পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন মাহবুবুর রহমান। সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহের বুধবার কাজ শেষে নিজ বাড়ি ভৈরবের চন্ডিবের উত্তরপাড়া গ্রামে আসতেন। আর শুক্রবার সকালে যথারিতি আবার অফিসের কাজে ঢাকায় চলে যেতেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দু’দিনের ছুটি নিয়ে রাত ৮টায় বাড়ি আসেন মাহবুবুর রহমান। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। এর আগে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার পায়েসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। ওইদিন রাতে রোকসানা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আসিফ আহম্মেদ মাহবুবুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমানের বড় ভাই হাবিবুর রহমান তার ভাবী রোকসানা আক্তারকে আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা করেন। রোকসানা গ্রেফতারের পর আসিফ আহম্মেদের সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ও হত্যায় সে জড়িত বলে জানান। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জুন ভৈরব থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহালুল খান আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আদালত রায়ে তাদের দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
সারাবাংলা/পিটিএম