বগুড়ায় তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৭ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১০
বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজন হলেন- ইমরান হোসেন (৩২), সাঈদ হোসেন (৩৮), রুবেল হোসেন(৩১) ও মনির হোসেন(২৮)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা এলাকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টের পাইপ লাইনের কাজের জন্য কিছু অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সেই মোতাবেক কন্ট্রাক্টর মো. আজাদের মাধ্যমে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর অফিসার্স কলোনী এলাকার খলিলের ছেলে ইমরান হোসেন, মো. সোলাইমানের ছেলে সাঈদ হোসেন, রুবেল ও আব্দুস সালামের ছেলে মনির হোসেন কোম্পানিতে পাইপ লাইনের কাজ করতে আসে। দুপুর ১ টার দিকে পাইপ লাইনের কাজ করার জন্য তারা তেলের ট্যাংকির উপরে ওঠেন। তেলের ট্যাংটি অতিরিক্ত তাপ হওয়ায় ট্যাংকি বিস্ফোরণ হয়ে ঢাকনা খুলে গেলে তারা প্রায় ১০০ ফুট নিচে পড়ে যান এবং গরম তেলে তাদের সারা শরীর ঝলসে যায়।
পরে অন্যান্য শ্রমিক ও কোম্পানি এইচআর এডমিন রঞ্জন চক্রবর্তী তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কাজের কন্ট্রাক্টর আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের এডমিন রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে তাদের পাইপ লাইনের কাজের জন্য নেয়া হয়েছিল। যথাযথ সেফটি নিয়েই তারা কাজ করছিলেন। এই দুর্ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওই কাজটি সাধারণ শ্রমিক দিয়ে করানো ঠিক হয়নি। যেখানে বিদ্যুত ও গ্যাসের লাইনে এক জায়গায় সেখানে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ থাকা প্রয়োজন ছিল। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবাংলা/এনইউ