৬ খাতের সংস্কারে ছয় কমিশন, নেতৃত্বে বিশিষ্ট নাগরিকরা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:০৮
ঢাকা: রাষ্ট্র সংস্কারের কথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই বলে আসছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য সরকার নানা ধরনের উদ্যোগও নিয়েছে। এবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানালেন, বিশেষ ছয়টি খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি আলাদা আলাদা কমিশন প্রাথমিকভাবে গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ছয় কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে, যারা প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত।
ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।
এদিকে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. ইফতেখারুজ্জামানকে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে শাহদীন মালিককে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে আরও খবর—
- ‘গণমাধ্যম স্বাধীন, মন খুলে সমালোচনা করুন’
- বন্যায় পুনর্বাসন সফল করতে সবার সহায়তা কামনা
- প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক চান ইউনূস
- সংস্কারের দায়িত্ব দিয়ে দর্শকের গ্যালারিতে চলে যাবেন না: ইউনূস
- ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট নয়, কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না’
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি জানান, পরে আরও বিভিন্ন খাতের সংস্কারে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনগুলো পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে কমিশন পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয়ে ওই দিন থেকে কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কমিশন কাজ শেষ করবে বলে ধারণা করছি। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার পরামর্শসভা আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শ সভার ভিত্তিতে সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।
সারাবাংলা/টিআর
৬ কমিশন ৬ খাত আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জাতির উদ্দেশে ভাষণ ড. ইফতেখারুজ্জামান ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা বদিউল আলম মজুমদার শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান শাহদীন মালিক সফর রাজ হোসেন সংস্কার সংস্কার কমিশন