Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরের নদী-খাল দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩৭ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৮

দখল-দূষণে মৃতপ্রায় ভুলুয়া নদী। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীর ভুলুয়া নদীসহ দুই জেলার খাল দখলে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মনুষ্যসৃষ্ট বন্যা রোধে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ভুলুয়া নদীর অবৈধ দখলের বিষয়ে আদালত তদন্ত করতে বলেছেন।

আদালতের আদেশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই দুই জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) তদন্ত শুরু করতে বলেছেন হাইকোর্ট। ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সাত উপজেলার পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষের সুরক্ষায় ভুলুয়া নদীসহ সব নদ, নদী ও খাল দখলমুক্ত করতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এ রিটটি দায়ের করেন।

রিটে নৌ পরিবহণ সচিব, নদী সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট এক জাতীয় পত্রিকায় ‘ভুলুয়া নদীর দখল ও অব্যবস্থাপনা: পানিবন্দি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ৩ লাখ মানুষ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রিটকারী আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ১৯৮৮ সালের পর এ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি আগে কখনো। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সবার কল্পনার বাইরে। অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়েছেন। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার পর রান্নাবান্না তো দূরে থাক, তিন বেলা খাবার ঠিকমতো খেতে পারছে না অনেকে। নেই পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। নারী, শিশু ও পুরুষ নির্বিশেষে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই আইনজীবী আরও বলেন, প্রশাসন যতক্ষণ না নদী ও খালগুলোকে দখলমুক্ত করবে, ততক্ষণ এখানে জলাবদ্ধতা থাকবে। এ জলাবদ্ধতা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলমুক্ত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

খাল রক্ষা টপ নিউজ নদী-রক্ষা ভুলুয়া নদী হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর