শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা বন্ধে রাতেই শুরু যৌথ অভিযান
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫০ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮
ঢাকা: শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা বন্ধে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিন বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সঙ্গে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের কোনো ধরনের হয়রানি না করতে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।’
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, কারখানাগুলোতে বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে, তার পেছনে একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। তাদের লোকজন লুঙ্গি পরে হেলমেট মাথায় দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে অস্থিরতা তৈরি করছেন এবং কারখানা ভাঙচুর করছেন। ফলে যারা শ্রমিকদের উসকে দিয়ে আন্দোলনে নামাচ্ছেন এবং শ্রমিক না হয়েও যারা আন্দোলন করছেন ও কারখানা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর এলাকার শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আশুলিয়া ও গাজীপুর চৌরাস্তায় পোশাক কারখানাগুলোতে সমস্যা হচ্ছিল। পোশাক কারখানাগুলোতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছিল, যেখানে শ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছি। পোশাক খাতে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব বহিরাগতরা ইন্ধন দিচ্ছিল, তাদের শনাক্ত করা হবে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ মাঠে থাকবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলে ঝুট ব্যবসায়ী পরিবর্তন হয়, এটি স্বাভাবিক বিষয়। এটি একটি ছোট বিষয়। কিন্তু বহিরাগতরা যেটি করছে সেটি অনেক বড় বিষয়। ওই অপতৎপরতা রুখতেই এই পদক্ষেপ।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম