Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগ নেতা হত্যা মামলা: জামিনে মুক্ত টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ আগস্ট ২০২৪ ২০:১১ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৮

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জামিন পাওয়ার পর বিকেলে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি সহিদুর রহমান মুক্তির জামিনের জন্য তার আইনজীবীরা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনে বলা হয়, সহিদুর রহমান খান কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। থাইরয়েডের সমস্যাসহ আরও নানা রোগে ভুগছেন। সুচিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।

যেকোনো শর্তে সহিদুরের জামিনের জন্য আবেদন করেন আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারিত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সহিদুরকে কী কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে বলেছেন আদালত।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকলেছুর রহমান জানান, সহিদুর রহমান খানের জামিন মঞ্জুরের কাগজপত্র বিকেল ৩টার দিকে কারাগারে আসে। পরে সাড়ে ৩টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। এ মামলায় মুক্তির আরও তিন ভাইও আসামি।

বিজ্ঞাপন

পরিবার জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরপরই চিকিৎসা নিতে ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ওই সময় সহিদুর আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি একবার জামিন পেয়েছিলেন সহিদুর। আদালত জামিন বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যেতে হয় তাকে। পরে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারামুক্ত হয়েছিলেন তিনি। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফের কারাগারে যেতে হয়। তখন থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুর হমান খান ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, মামলায় কেবল তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বাকি সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

আ.লীগ নেতা হত্যা মামলা জামিনে মুক্তি টাঙ্গাইল বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা সহিদুর রহমান খান

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর