আন্দোলন করে প্রক্টরকে ফেরালেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
২৮ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৭ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪০
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে পুনরায় দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রক্টর ড. মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। তবে আপাতত রুটিন দায়িত্বের মতো করে প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর পদে ড. কামারুজ্জামানকে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের অনড় অবস্থানে ড. কামরুজ্জামান দুপুর ২টার কিছু সময় পরে ক্যাম্পাসে হাজির হয়ে পুনরায় প্রক্টরের দায়িত্ব নিতে সম্মতি জানান।
সরকার পতনের পর গত ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগের আগ মুহূর্তে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজনকে অব্যাহতি দেন।
পরে সেসব অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেন উপাচার্য নিজেই, এ সংক্রান্ত কাগজে সইও করেন। প্রত্যাহারের পর সবাই নিজ নিজ পদে ফিরলেও বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান সেই দায়িত্বে ফেরেননি। তাকে প্রক্টর হিসেবে ফের দায়িত্ব নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনের সময় প্রক্টর স্যার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে। সে কারণেই আন্দোলনের বিপক্ষে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা তাকে সরিয়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষের লোকদের প্রক্টর করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু আমরা আন্দোলন করেছি কোটা সংস্কারের পক্ষে, আমরা আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারের বিপক্ষে। আমরা চাই প্রক্টর স্যার তার দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
পরে দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্পাসে ফিরে প্রক্টরের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা জানান মো. কামরুজ্জামান। বলেন, নতুন উপাচার্য আসা পর্যন্ত এবং সিদ্ধান্ত দেওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব সই ও নিরাপত্তাজনিত আইনি দায়িত্ব আপৎকালীন সময় বিবেচনায় করব, রুটিন দায়িত্বের মতো। নতুন উপাচার্য এসে কাউকে দায়িত্ব দিলে আমরা তাকেই সহায়তা করব।
শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে কামরুজ্জামান বলেন, তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) কথা দিতে হবে, অতি দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে, সেশন জট কমাতে এবং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সবাই একযোগে কাজ করবে।
আন্দোলনের সময় প্রশাসনিক ভবনে বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রক্টরের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানান। তারাও ড. কামরুজ্জামানকে প্রক্টরের দায়িত্বে পুনর্বহাল হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর