‘ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ-পরামর্শদাতাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে’
২৪ আগস্ট ২০২৪ ১৭:১৮ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৭
ঢাকা: ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, ইতোমধ্যে কিছু ভিআইপিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা অর্থ, পরামর্শ ও বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে আপনারা কী জানতে পেরেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইস্যুতে রুজু হওয়া মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের কেউ অর্থ, পরামর্শ ও বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দিয়ে উৎসাহিত করেছেন এসব বিষয় এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
কিছু অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তার কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু পুলিশের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তুলনামূলক সময় লাগতে পারে। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টি চলমান রয়েছে।’
দায়ী পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার হয়নি। তারা এখন পলাতক কি-না? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘তাদের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই।’
বিশেষ কয়েকটি জেলার পুলিশ সদস্য ডিএমপিতে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে ছিলেন। আপনার দায়িত্ব পালনকালীন এসব বিশেষ জেলার কর্মকর্তাদের পদায়ন হবে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে একমত নই। পুলিশ বাহিনীর সবাই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে। কে কোন জেলা থেকে এলো সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। আমরা চাই একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে। যেখানে সকল পুলিশ সদস্য হবেন পেশাদার।’
পুলিশে কীভাবে আস্থার সসংকট ফিরিয়ে আনবেন? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিছুটা সময় লাগবে। তবে আপনারা পরিচ্ছন্ন পুলিশিং দেখতে পাবেন। যাদের আস্থার সংকট বলছেন তারা থাকবে না।’
পুলিশে দুর্নীতি রোধে আপনি কী ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পেশাদার পুলিশবাহিনী তৈরি হোক। যেখানে কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যায়ের স্থান থাকবে না।’
আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। সেসব অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকের লাইসেন্স করা অস্ত্র যেমন ব্যবহার হয়েছিল, আবার অবৈধ অস্ত্রও ব্যবহার হয়েছিল।’
আস্থা ও সংকট কাটিয়ে উঠতে কতদিন সময় লাগতে পারে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। আমরা চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে সবার সাপোর্ট চাই আমরা। সবার সাপোর্ট ছাড়া ট্রমা থেকে পুলিশ উঠে আসতে পারবে না।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম