Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালীতে বন্যার আরও অবনতি, ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৬ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৮

নোয়াখালী: ভারী বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদী থেকে নেমে আসা পানিতে নোয়াখালীতে বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। এতে চার লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ আট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ফেনী জেলার পানি নোয়াখালী সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও পৌর এলাকায় ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ।

টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ আট উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। ফেনী জেলার পানি নোয়াখালী সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া খালগুলো অবৈধভাবে দখল ও পৌর এলাকায় ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করায় সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে।

জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল ভোর ৬ থেকে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীতে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সক্রিয় লঘুচাপ ও মৌসুমি জলবায়ুর কারণে জেলায় আরও তিনদিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো.জাকির হোসেন বলেন, জেলায় ৭ লাখ ৭৫হাজার গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে ৪লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বেগমগঞ্জের একটি উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলা বন্যা কবলিত। এসব উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৮৮ আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ হাজার বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। আমরা শুকনো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের উপজেলার কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। আমরা বিত্তশালী মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে আমরা চাহিদার কথা জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীতে প্রথমে জলাবদ্ধতাই ছিল। কিন্তু ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সেটা নোয়াখালীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে নোয়াখালীতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ নোয়াখালী বন্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর