হাসিনা-মেনন-ইনু-মঞ্জুসহ ৫০০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ
২১ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৩ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩০
ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শেখ শাহরিয়ার বিন মতিনের পিতা মো. আবদুল মতিনের পক্ষে এ আবেদন করেন।
যাদের আসামি করা হয়েছে
আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, ১৪ দলের নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেকমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জেপির সভাপতি সাবেকমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেকমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের সাবেক ডিজি হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, যুবলীগ সেক্রেটারি মাইনুল হাসান নিখিল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন এবং অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই ঢাকার মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এইচএসসির শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার বিন মতিন।
আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমগ্র দেশের বিভিন্ন স্থানে আসামি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কতিপয় নেতাদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য, কতিপয় র্যাব কর্মকর্তা ও র্যাব সদস্য, কতিপয় অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মী কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্রজনতাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে কমপক্ষে ৮১৯ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২০ হাজার আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক জখম হয়। এবং এক হাজার আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরতরে অন্ধ ও পঙ্গুত্ববরণ করে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম