রাঙ্গামাটিতে মাটি ধস, সাজেকে আটকা আড়াই শতাধিক পর্যটক
২০ আগস্ট ২০২৪ ২১:২০ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪ ০৮:২০
রাঙ্গামাটি: টানা প্রায় পাঁচদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে সারাদেশের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে দিকে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীণ আক্তার জানান, সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সোমবার ও মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছে তারা মূলত আটকে পড়েছে। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে। ভারি বৃষ্টিপাতে কাচালং নদীর পানি বাড়ায় বাঘাইছড়িতেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে উপজেলার সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাতে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক ও রাঙ্গামাটি-বান্দরবান আঞ্চলিক সড়কের সাতটি স্থানে মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) রাঙ্গামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, টানা বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রাঙ্গামাটি-বান্দরবান আঞ্চলিক সড়কের ছোট বড় সাতটি স্থানে মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে, পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সঙ্গে কথা বলে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলার সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ